Barak UpdatesHappeningsBreaking News
ভাষা আইনের অপপ্রয়োগ ধরিয়ে দিলেই দেশদ্রোহীর তকমা, ক্ষুব্ধ বরাক বঙ্গ, স্মারকলিপি
ওয়েটুবরাক, ১০ ডিসেম্বর : ১৯৬১ সালের সংশোধিত অসম রাজ্য ভাষা আইন অনুসারে বরাক উপত্যকার আঞ্চলিক সরকারি ভাষা বাংলা । তাই সরকারি ও প্রশাসনিক পর্যায়ে সর্বস্তরে এই আইনের যথাযথ প্রয়োগের জন্য উপত্যকার তিন জেলা থেকে বৃহস্পতিবার একযোগে সরকারের কাছে দাবি তুলল বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন।
এদিন তিন জেলা প্রশাসনকে দেওয়া স্মারকপত্রে বরাকবঙ্গ স্পষ্ট ভাষায় বলেছে, এই উপত্যকার আশি শতাংশ মানুষ বাংলাভাষী। ১৯৬০-৬১ সালের ভাষা আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে উপত্যকার ভাষার অধিকার আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বীকৃত হয়েছে। কিন্তু সরকার ও প্রশাসনকে বারবার বলা সত্ত্বেও বিভিন্ন সরকারি নির্দেশিকা, প্রপত্র, বিজ্ঞাপন, হোর্ডিং এবং নিযুক্তির পরীক্ষা গ্রহণে ভাষা আইন লঙ্ঘনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে । তাই এই আইনের যথাযথ ব্যবহার সুনিশ্চিত করার জন্য জেলাশাসকদের কাছে আবেদন রেখেছে বরাকবঙ্গ।
স্মারকপত্রে এক্ষেত্রে আইনি সংস্থানের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে , আইনের যথাযথ প্রয়োগের দাবি সংবিধানসন্মত এবং গণতান্ত্রিক । তাই এক্ষেত্রে ভ্রান্তি বা অপপ্রয়োগের ঘটনা নজরে এলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে গণতান্ত্রিকভাবে দাবি তুললে কাউকে ‘দেশদ্রোহী’ তকমা দিয়ে হেনস্থা করা ঠিক নয়। এ ব্যাপারে সাম্প্রতিক ঘটনাক্রমে গভীর উদ্বেগ ব্যক্ত করে অবিলম্বে এ ধরনের প্রক্রিয়া বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে বরাকবঙ্গ।
এদিন শিলচরে কাছাড় কাছাড়ের জেলাশাসকের অনুপস্থিতিতে বরাকবঙ্গের স্মারকপত্র গ্রহণ করেন ডিস্ট্রিক্ট ডেভেলপমেন্ট কমিশনার রাজীব রায় । স্মারকপত্র প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন তৈমুর রাজা চৌধুরী, সঞ্জীব দেবলস্কর, গৌতম প্রসাদ দত্ত, পরিতোষ চন্দ্র দত্ত, কবীর হোসেন ও উত্তমকুমার সাহা। হাইলাকান্দিতে স্মারকপত্র গ্রহণ করেন ডিস্ট্রিক্ট ডেভেলপমেন্ট কমিশনার রঞ্জিত লস্কর। প্রদান করেন নীতিশ ভট্টাচার্য, সুদর্শন ভট্টাচার্য , মানিক চক্রবর্তী ও আজমল হোসেন চৌধুরী। করিমগঞ্জে জেলাশাসকের পক্ষে স্মারকপত্র গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা শাসক বিপুল দাস । স্মারকপত্র প্রদান করেন বিনোদলাল চক্রবর্তী, সুবীরবরণ রায়, অরবিন্দ পাল, নিশিকান্ত ভট্টাচার্য, সৌমিত্র পাল, নন্দকিশোর বণিক ও নিরোজিৎ দাস। কাছাড়ের মহকুমা সদর লক্ষ্মীপুরে মহকুমা শাসক রুথলিয়েন থাং স্মারকপত্র গ্রহণ করেন । প্রদান করেন জগবন্ধু দাস, ত্রিদিবেশ দাস, কার্তিক রায় , অসীম পাল, বিজন পাল, পুলক দাস, সঞ্চিতা দত্তচৌধুরী, রূপম দেব ও রঞ্জন রায়।