Barak UpdatesHappenings
বরাক জুড়ে নির্বিঘ্নে দশমী, মঙ্গলবারও হবে প্রতিমা নিরঞ্জন
২৬ অক্টোবরঃ মহাসপ্তমীতে প্রকৃতি বাদ সাধলেও পরে মেঘ কেটে যায়। মহাষ্টমীতে দোলাচল ছিল বটে, মহানবমীতে উতসবের আনন্দে গা ভাসান বরাকের মানুষ। করোনা আবহের দরুন এ বার মণ্ডপসজ্জা বলতে কিছুই নেই, প্রতিমাতেও প্রতিযোগিতামূলক ব্যাপার ছিল না। তবু দর্শনার্থী একেবারে কম বেরোননি। সোমবার প্রতিমা নিরঞ্জন নির্বিঘ্নে চলছে।
ছোট প্রতিমা, শোভাযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা, সাউন্ড সিস্টেমে আপত্তি। এই সবের দরুন জনঢল কোথাও পরিলক্ষিত হয়নি। নেই সেই উদ্দাম নৃত্যও। একেই অবশ্য অনেকে স্বাগত জানিয়েছেন। অন্যরা আশাবাদী, আগামী বছর উৎসব তার পুরনো মেজাজ ফিরে পাবে। তখন সবই হবে।
কাছাড় জেলায় মোট পাঁচশো পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এর মধ্যে শিলচর সার্কলেই অধিকাংশ। ৩১২ টি। এ ছাড়া লক্ষীপুরে ৩৭, উধরবন্দে ৬০, সোনাইয়ে ৭০ ও কাটিগড়ায় ২১টি পুজো প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি সংগ্রহ করেছে। সোমবার সকালে শুরুতে বাড়ির পুজোর প্রতিমা বিসর্জন হয়। পরে একে একে আসে বিভিন্ন সর্বজনীন পুজোর প্রতিমা। মঙ্গলবারও বেশ কিছু সর্বজনীন পুজোর প্রতিমা বিসর্জন হবে। ভিড় নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের তরফ থেকে এ বার দুইদিনের প্রতিমা নিরঞ্জনের আয়োজন করা হয়েছে।
করোনার দরুন শিলচরের বাইরে গিয়ে আটকে পড়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক বীথিকা দেব। তাই এ বার তারাপুরে সন্তোষমোহন দেবের বাড়িতে পুজো হয়নি। তবে তাঁদের দিল্লির বাড়িতে পুজো করেছেন প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব। পুজো হয়েছে রাজের বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যের বাড়িতে। হয়েছে গানবাজনা, ধামাইল নৃত্যও।
করোনা তাণ্ডবে লক্ষ্যণীয়ভাবে বাদ পড়েছে জেলা প্রশাসনের কুমারী পুজা। তবে নবমীর দিনে কুমারী পূজা হয়েছে শিলচর নেপালি মন্দিরে। তাঁদের অবশ্য একটু ভিন্ন প্রকৃতির কুমারী পূজা। কুমারীরা সেজেগুজে লাইন ধরে বসেছেন। আগ্রহীরা তাদের ধুপধুনা দেখিয়ে প্রণামী দিয়ে একে একে প্রত্যেক কুমারীরূপী দেবীকে প্রণাম করেছেন।
খাওয়াদাওয়ার আয়োজনে সর্বত্র নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় পুজোর তিনদিন একসঙ্গে বসে খাওয়ার ব্যাপারটা হয়নি। কয়েক বছর ধরে এখানে চলছে, পুজো কমিটিই এলাকার প্রত্যেকের দুপুরের খাবারের আয়োজন করে। ছেদ পড়ল এই বছর৷ হয়নি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডও। তবে সবাই আশাবাদী, করোনা অচিরেই নিঃশেষ হবে। পৃথ্বী আবার স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।