Barak UpdatesHappeningsCultureBreaking News
ভাবীকালের সমারোহে ভালো ভালো নাটক দেখল শিলচর
ওয়েটুবরাক, ২৮ জানুয়ারি: করোনা অতিমারির দরুন গত দুই বছর নাট্যোৎসব করতে পারেনি ভাবীকাল। এ বার সুযোগ পেতেই আয়োজন করে সপ্তরাজ রঙ্গ উৎসব নামে নাট্য সমারোহের। আসাম, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন দল তিনদিনে পরিবেশন করে সাতখানা নাটক। ২০ জানুয়ারি গান্ধীভবনে নাটকের উৎসবের উদ্বোধন হয়। সে দিন দুটি নাটক মঞ্চস্থ হয়। পরের দুদিনে বঙ্গভবনে পাঁচটি নাটক হয় ।
উত্তর লখিমপুরের অভিনব থিয়েটার পরিবেশন করে ‘কড়োয়া সাচ’। পরিচালনায় ছিলেন রাজ্যের বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব দয়াল কৃষ্ণ নাথ। আগরতলার নাট্যভূমি নিয়ে আসে ‘রঙিন রুমাল’, পরিচালনায় সঞ্জয় কর। এই দুই নাটক আজও শহরের নাট্যপ্রেমীদের কাছে আলোচনার বিষয়। প্রশংসা কুড়িয়েছে প্রথম দিনের প্রথম নাটক ‘ইয়েস’-ও। পরিবেশন করে কলকাতার গোবরডাঙ্গা নকশা। দ্বিতীয় দিনের দুটি নাটক ‘স্বপ্নের সায়র’ ও ‘রংমহল’। ‘স্বপ্নের সায়র’ মঞ্চস্থ করে করিমগঞ্জের বিশ্ববীনা। পরিচালনায় শান্তনু পাল। ‘রংমহল’ ধর্মনগরের নটনাট্যমের প্রযোজনা।পরিচালক রঞ্জিত পুরকায়স্থ।
তৃতীয় দিন ‘রঙিন রুমাল’ ছাড়াও দুটি নাটক অভিনীত হয়। ভাবীকালের প্রশিক্ষার্থীরা মঞ্চস্থ করে ‘কালো ব্যাগ’। নেতাজি বিদ্যাভবন উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জাতীয় পর্যায়ের প্রথম পুরস্কার জয়ী নাটক ‘নান্নী সি চিরিয়া’ ২২ জানুয়ারি বঙ্গভবনের মঞ্চে পরিবেশিত হয়। দুটি নাটকেরই পরিচালক ছিলেন শান্তনু পাল।
আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক তপোধীর ভট্টাচার্য ২০ জানুয়ারি সপ্তরাজ রঙ্গ উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। তিনি সমাজগঠনে নাটকের ভূমিকার কথা নানা উদাহরণ সহ তুলে ধরেন। অধ্যাপক ভট্টাচার্য বলেন, নাটক একটি বিষয়কে বিভিন্ন দিক থেকে ভাবতে সাহায্য করে। জীবনে এগিয়ে যেতে তা যথেষ্ট সহায়ক হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাবীকালের নির্দেশক শান্তনু পাল বলেন, তাঁরা অসমের গ্রাম-শহরে নাটকের প্রসারের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। করোনা এবং গত বছরের বন্যা তাঁদের কাজে বেশ ব্যাঘাত ঘটায়। বার্ষিক নাট্যোৎসব দুই বছর বন্ধই রাখতে হয়। ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রক এ বার এই সপ্তরাজ রঙ্গ উৎসব আয়োজনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, এই কথা জানিয়ে তিনি তাদের সাধুবাদ জানান। শান্তনুবাবু ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সকল পৃষ্ঠপোষক, নাট্যদল, দর্শক এবং সংবাদমাধ্যমকে।