Barak UpdatesHappeningsBreaking News
বড়খলা মডেল কলেজে কবি প্রণাম, দেওয়াল পত্রিকার উন্মোচন
ওয়ে টু বরাক, ১০ মে : বড়খলা সরকারি মডেল কলেজে মঙ্গলবার বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী উদযাপিত হয়। ২৫ শে বৈশাখ, বাংলা বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত কবিগুরু স্মরণ অনুষ্ঠানের পাশাপাশি আয়োজিত হয় আমন্ত্রিত অতিথির বক্তৃতা। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক তপোধীর ভট্টাচার্য।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিকৃতির সামনে প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন অতিথি বক্তা তপোধীর ভট্টাচার্য এবং অধ্যক্ষ ডঃ সাহাবুদ্দিন আহমেদ। কলেজের শিক্ষার্থীরা রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন। কলেজের পক্ষ থেকে অতিথি বক্তা ভট্টাচার্যকে ফুলের তোড়া ও স্মারক পত্র দিয়ে সংবর্ধনা জানান অধ্যক্ষ।
স্বাগত বক্তব্য রাখতে গিয়ে ড. আহমেদ দিনটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন। ‘বর্ষবরন’ (বাংলা নববর্ষকে আলিঙ্গন) থিমের অংশ হিসেবে দুই শিক্ষার্থী “এসো হে বৈশাখ” নিয়ে একটি নৃত্য পরিবেশন করে। অতিথি বক্তা তপোধীর ভট্টাচার্য সাহিত্যের ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অসামান্য অবদানের বিস্তারিত বর্ণনা করেন। ঠাকুরের কবিতা, উপন্যাস, নাটক, চিত্রকলা ও প্রবন্ধের বিশালতার ওপর আলোকপাতের পাশাপাশি তিনি বিশ্বকবির চিঠির বিশালত্বের কথাও উল্লেখ করেন।
জালিওয়ানালাবাগের ঘটনার উদাহরণ টেনে অধ্যাপক ভট্টাচার্য দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কবিগুরুর নীরব অবদানের কথা তুলে ধরেন। প্রতিটি পদক্ষেপে আদর্শ সাহিত্য ও শিক্ষামূলক চিন্তার অকৃত্রিম অনুশীলনের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে স্মরণ করার আবেদন জানান তিনি। কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের জন্য তপোধীর ভট্টাচার্য স্ব-রচিত কিছু বই দান করেন।
পরে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। রবীন্দ্র জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে সোমবার কলেজে আয়োজিত বক্তৃতা, প্রবন্ধ, কবিতা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতার ৬ জন বিজয়ী প্রতিযোগীর হাতে এদিন পুরস্কার ও শংসাপত্র তুলে দেন আমন্ত্রিত অতিথি ও অধ্যক্ষ।
পুরষ্কার বিতরণের পর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষাগত দৃষ্টিভঙ্গি,আদর্শ এবং শান্তিনিকেতনের সারাংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা বিভাগের প্রধান ডঃ রূপশ্রী পাল। প্রখ্যাত শিল্পী প্রসেনজিৎ দে-এর লাইভ পোর্ট্রেট পেইন্টিং অনুষ্ঠানকে আকর্ষণীয় করে তুলে। ইংরেজি বিভাগের প্রধান সুরশিখা দেবনাথ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
ড. মধুমিতা ঘোষ ও ড. মৌসোনা নাথের সঙ্গীতানুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। অনুষ্ঠানের পর বাংলা বিভাগের প্রথম দেওয়াল পত্রিকা “নৈঋত” এর উদ্বোধন করেন প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক তপোধীর ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানে কলেজের পড়ুয়ারা সহ সরস্বতী বিদ্যানিকেতনের ছাত্র-ছাত্রীরা এবং এলাকার নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন।