Barak UpdatesHappeningsBreaking News
বিয়ে নয়, চলছিল প্রেম ! বাল্যবিবাহের অভিযোগে গ্রেফতার নাবালক ছেলে ও বাবা
ওয়ে টু বরাক, ২১ ফেব্রুয়ারি : বাল্যবিবাহ নিয়ে সারা রাজ্যে যখন সরকারের নির্দেশে পুলিশ তৎপর রয়েছে, তখন এক অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটেছে ধলাই বিধানসভা কেন্দ্রের অধীন পালংঘাট পুলিশ ফাঁড়ির মনিয়ারখাল চা বাগানে। সেখানে বিয়ে না হওয়া সত্ত্বেও এক নাবালক প্রেমিক ও তার বাবাকে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। স্থানীয় জনগণ তথা ধৃত ছেলের মা জানিয়েছেন, বাল্যবিবাহের অভিযোগে তার ছেলে ও স্বামীকে পুলিশ আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
খবর অনুযায়ী, পালংঘাট ফাঁড়ির কর্মীরা গত ৩ ফেব্রুয়ারি মনিয়ারখাল চা বাগানের বাসিন্দা কুটি দাস ও তাঁর ছেলে সৌরভ দাসকে বাল্যবিবাহের অভিযোগে গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছে। এ নিয়ে প্রেমিক ও প্রেমিকার পরিবার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মনিয়ারখাল চা বাগানের বাসিন্দা তথা প্রেমিকার বাবা জানান, তার মেয়ের সঙ্গে প্রতিবেশী কুটি দাসের ছেলের সম্পর্কের কথা জানতে পেরে দুটি পরিবারের বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনা থেকে সিদ্ধান্ত হয়, বিয়ের বয়স হলেই তাদের দুজনকে বিয়ে দেওয়া হবে। এ নিয়ে দুটি পরিবার সম্মতিও প্রকাশ করে।
এ দিকে, এই দুটি পরিবার একে অপরের প্রতিবেশী হওয়ায় তাদের মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে। প্রায়ই এক পরিবারের লোকজন অন্য পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে আসা যাওয়া করতেন। এ অবস্থায় গত ৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সৌরভ ও তার বাবাকে বাল্যবিবাহের অভিযোগে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। সেসময় মেয়েটিও কুটি দাসের বাড়িতেই ছিল। সৌরভের মা ময়না দাস জানান, তার ছেলের সঙ্গে প্রতিবেশীর মেয়ের বিয়ে হয়নি। কিন্তু তারপরও পুলিশ কেন তার ছেলে ও স্বামীকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেল? তিনি বলেন, পুলিশকে বার বার বলা হয়েছে তাদের বিয়ে হয়নি। বয়স হলেই বিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু এতে কর্ণপাত না করেই ছেলে ও স্বামী সহ মেয়েটিকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে অবশ্য মেয়েটিকে ছেড়ে দেওয়া হলেও সৌরভ ও তার বাবাকে জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, এই অবস্থায় তিনি একা থাকতে সমস্যায় পড়েছেন। কারণ তিনি নিজে যেমন অসুস্থ, তেমনি তার স্বামীরও দুমাস আগে অপারেশন হয়েছে। তা গ্রামের সবাই ভালভাবে জানেন। এ অবস্থায় তার পক্ষে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে পালংঘাট থানায় গিয়ে অভিযোগ জানালেও এ পর্যন্ত কোনও ফল হয়নি।