Barak UpdatesHappeningsBreaking News

বিহাড়ায় এফসিআইর গোদামঃ ২০১২-র প্রকল্প আজও হচ্ছে না কেন, প্রশ্ন ডা. রাজদীপ রায়ের

ওয়েটুবরাক, ৩ আগস্টঃ ২০১২ সালে এফসিআইর জন্য কাছাড় জেলার বিহাড়ায় ২০ হাজার মেট্রিক টন মজুতের ক্ষমতাবিশিষ্ট একটি গোদাম তৈরির পরিকল্পনা হয়েছিল। প্রায় এক দশক পেরোতে চললেও সেই কাজ শুরু হয়নি এখনও।  কেন হল না, কবে নাগাদ এর কাজ শুরু হবে, আজ মঙ্গলবার সংসদে এ প্রশ্ন উত্থাপন করেন শিলচরের সাংসদ ডা. রাজদীপ রায়।

প্রথমে বিভাগীয় প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি জানান, এই প্রকল্পে যৌথ সমীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে।  কিছুদিনের মধ্যে নির্মাণ কাজ শুরু হতে চলেছে। পরে পরিপূরক প্রশ্নের জবাবে উঠে দাঁড়ান ক্যাবিনেট মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তিনি পূর্বতন কংগ্রেস সরকারকে দোষারোপ করে বলেন, এরা শুধু প্রকল্প গ্রহণ করত, বাস্তবায়ন করত না। এই প্রকল্পটিই এর বড় উদাহরণ। মন্ত্রী গোয়েল জানান, ২০১২ সালে কংগ্রেস সরকারের আমলে প্রকল্পটি অনুমোদন লাভ করেছিল।  পরে আর কাজ এগোয়নি। বিজেপি ক্ষমতা দখলের পর নাড়াচাড়া শুরু করলে ২০১৭ সালে এর জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এখন রেল দফতরের কাছ থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট পেলে নির্মাণকাজ শুরুর পথে আর কোনও বাধা থাকবে না।

শিলচরের সাংসদ ডা. রাজদীপ রায় ২০ হাজার টনের এফসিআই গোদামের প্রয়োজনীতা উল্লেখ করে বলেন, এ শুধু বরাক উপত্যকার মানুষের উপকারে আসবে, এমন নয়।  কাছাড়ের বিহাড়া বা বরাক উপত্যকার সঙ্গে চার রাজ্যের সীমানা রয়েছে। ফলে অন্যরা তা থেকে উপকৃত হবে। ডা. রায় জানতে চান, কাছাড়ে এফসিআই-র ডিপো করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে কিনা। থাকলে এ সম্পর্কে বিস্তৃত জানাতে অনুরোধ করেন তিনি। সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি জানান, সেন্ট্রাল সেক্টর স্কিমে ২০ হাজার টন গোদামের জন্য অনুমোদন মিলেছে। দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ২০১২ সালে প্রকল্পটি অনুমোদন লাভ করেছিল। ২০১৭ সালের জুনে রাজ্য সরকার বিহাড়ায় একখণ্ড জমি খুঁজে দেয়। ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৪ কোটি ১২ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়েছে। ৬ কোটি 88 লক্ষ টাকা এরই মধ্যে প্রদান করা হয়েছে। তবে ওই জমির সঙ্গেই রয়েছে রেল দফতর ও  আসাম সরকারের সাধারণ প্রশাসনের কিছুটা খাস জমি। এই জমি ব্যবহারের জন্য রেলের অনুমোদন শুধু সময়ের অপেক্ষা। সাধারণ প্রশাসন এরই মধ্যে রেলের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে।

পরে ডা. রায়ের পরিপূরক প্রশ্নের জবাবে উঠে দাঁড়ান মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল।  তিনি কংগ্রেসকে একহাত নিয়ে বলেন, এরা প্রকল্প রূপায়ণে আগ্রহী ছিল না বলেই এক দশকে প্রকল্পটির কাজ শুরু করা যায়নি।  তবে শীঘ্রই সমস্ত প্রক্রিয়া সেরে নির্মাণকাজ শুরু হবে বলে দুই মন্ত্রীই আশ্বস্ত করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker