NE UpdatesHappeningsBreaking News
বিশ্ব রেকর্ডের বিহুগীতে নাগাদের অপমানের অভিযোগ, ক্ষমা প্রার্থনার দাবি
ওয়েটুবরাক, ১৬ এপ্রিল : জোড়া বিশ্বরেকর্ড নিয়ে উৎফুল্ল অসমের মানুষ। এরই মধ্যে তাল কাটল অল আসাম নাগা ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। তাদের অভিযোগ, যে বিহুগীতের সঙ্গে ১১৩০৪ জন শিল্পী নৃত্য পরিবেশন করলেন ও ঢুলিয়ারা ঢোল বাজালেন, সেই গানটিতে নাগা সমাজকে অপমান করা হয়েছে।
শিল্পী রঞ্জিত গগৈ যে গান গেয়েছেন, তার এক পংক্তিতে রয়েছে, “আমি নাগাদের বাড়িতে ঘুরেছি। নাগারা আলু-কচু খায়। আমি নাগাদের জামাইবাবু বলি, নাগিনীদের বলি দিদি।” অসমে বসবাসকারী নাগাদের সোসাইটি তাতে আপত্তি জানায়। তবে অনুষ্ঠানটির আয়োজক অসম সরকারের সাংস্কৃতিক মন্ত্রক জানিয়েছে, এটা পরম্পরাগত বিহুগীত। তাতে কাউকে আঘাত করা হয়নি। নাগাদের অপমানিত বোধ করারও কিছু নেই।
অল আসাম নাগা ওয়েলফেয়ার সোসাইটির বক্তব্য, এই গানটিকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে গাওয়ার জন্য অনুমতি দেওয়া একদম ঠিক হয়নি। ‘আকোড়া নাগা’, ‘নাগিনী’ ইত্যাদি শব্দ আপত্তিকর। সোসাইটির সভাপতি সাম্ফা ওয়াংশু এবং সাধারণ সম্পাদক মন্টু কনিয়াক বলেন, “অসমে দশটি নাগা গোষ্ঠীর আড়াই লক্ষ লোক বসবাস করেন। আমাদের আবেগে আঘাত করেছে এই গান।” তাঁদের কথায়, “অসম একটি বহু জনগোষ্ঠীর, বিবিধ সংস্কৃতির রাজ্য। প্রতিটি জনগোষ্ঠী তাদের সংস্কৃতির ব্যাপারে অত্যন্ত স্পর্শকাতর। আমরাও নিজেদের বৃহত্তর অসমিয়া জনগোষ্ঠী বলেই মনে করি। কিন্তু আমাদের সঙ্গে বারবার অন্যায় আচরণ করা হয়।”
তাঁরা এই গানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির দাবি করেন। বলেন, শিল্পী রঞ্জিত গগৈকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। নইলে তাঁরা আইনের দ্বারস্থ হবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।