Barak UpdatesSports
বরাক উপত্যকা ভিত্তিক দাবা শুরু শনিবার
২১ জানুয়ারি : বরাক ভ্যালি ভিত্তিক ওপেন দাবা প্রতিযোগিতার আসর করছে কাছাড় জেলা দাবা সংস্থা। তাদের সহযোগিতা করছে শিলচর রোটারি ক্লাব এবং শিলচর রোটারেক্ট ক্লাব। দুদিনের প্রতিযোগিতা শুরু হবে শনিবার। বৃহস্পতিবার সকালে রোটারি ক্লাবের দুই প্রাক্তন সভাপতি তৈমুর রাজা চৌধুরী ও শিবব্রত দত্তকে পাশে রেখে যাবতীয় তথ্য তুলে ধরেন বর্তমান সভাপতি তাপস কুমার রায় ও কাছাড় জেলা দাবা সংস্থার সভাপতি অধ্যাপক চার্বাক।
কাছাড় জেলা দাবা সংস্থার সভাপতি ড. চার্বাক সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানান, প্রতিযোগিতা হবে ফিডে ফরম্যাটে । ৬ রাউন্ডের প্রতিযোগিতায় আরবিটার হিসেবে আসছেন আগরতলার পিকে রায়। ওপেন গ্রুপে প্রাইজমানি হিসেবে প্রথম তিনজন পাবেন যথাক্রমে তিন হাজার, দু’ হাজার ও এক হাজার ।চার থেকে একাদশ স্থান দখলকারী প্রত্যেকেই পাবেন পাঁচশত টাকা করে। এছাড়া সঙ্গে থাকবে স্মারক ও সার্টিফিকেট। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হবে ৩১ জানুয়ারি। সাংবাদিক বৈঠকে আয়োজকদের মধ্যে ছিলেন কাছাড় জেলা দাবা সংস্থার সচিব নির্মাল্য চক্রবর্তী, রাজদীপ দাস, সুরিতা দেবী, রোটারেক্ট জোনাল হেড সোহান আহমেদ স্বপ্নীল, ডিআরআর রাজর্ষী সিনহা , অর্ঘদীপ দাস প্রমুখ।
রোটারি ক্লাব সভাপতি সাংবাদিকদের জানান, ফুটবল, ক্রিকেট সহ সব খেলায় শারীরিক চর্চা হয়। তবে দাবা একমাত্র খেলা যেখানে মস্তিষ্কের ব্যায়াম হয়ে থাকে। শরীরের চালনা শক্তি হল মস্তিষ্ক , তাই এই খেলার গুরুত্ব অনেক বেশি । তিনি দাবা সংস্থার কাছে আবেদন রাখেন প্রতিযোগিতার পর একটি প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করার জন্য।
শিলচর রোটারি ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি তৈমুর রাজা চৌধুরী জানান, ভারতের অনেক জায়গায় রোটারি ক্লাব ইতিমধ্যেই দাবা খেলার আয়োজন করেছে। শিলচর রোটারি ক্লাব অনেক বার সেরা ক্লাবের স্বীকৃতি পেলেও একটা জায়গায় খামতি ছিল। এবার কাছাড় জেলা দাবা সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করে সেই শূন্য জায়গাটাও ভরাট হয়ে গেলো। বর্তমান সভাপতি তাপস রায়ের ইতিবাচক চিন্তাধারায় উঠে এলো কোচিং প্রক্রিয়া শুরু করার কথাটাও।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রোটারিয়ান শিবু দত্ত বলেন , শিলচর রোটারি ক্লাব বিভিন্ন ভাবে সমাজের কাজ করে আসছে।সমাজসেবা থেকে দুস্থ মানুষের সেবা। তিনি বলেন, প্রাচীন কাল থেকে এই খেলা চলে আসছে, এবং ভারতবর্ষেই হয়েছিল এর উৎপত্তি । তবে এ অঞ্চলে প্রতিযোগিতার সংখ্যা কম হওয়ায় ছেলে-মেয়েরা পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছে না। ফিডে রেটেড প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এখান থেকেও বেরিয়ে আসবে অনেক আইএম , জিএম। যত বেশি প্রতিযোগিতা হবে ততই বাড়বে খেলার মান।