Barak UpdatesHappeningsBreaking News
বিবেকানন্দ কেন্দ্র কন্যাকুমারীর উদ্যোগে বিশ্ব ভ্রাতৃত্ববোধ দিবস
ওয়েটুবরাক, ১২ সেপ্টেম্বর : গত শনিবার বিবেকানন্দ কেন্দ্র কন্যাকুমারী, করিমগঞ্জ নগর স্থানের ব্যবস্থাপনায় স্বামী বিবেকানন্দের চিকাগো বক্তৃতার ১২৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে “বিশ্ব ভাতৃত্ববোধ দিবস ” পালিত হয়৷ বঙ্কদত্ত রোডস্থিত সরস্বতী বিদ্যানিকেতন প্রাঙ্গণে প্রথানুযায়ী তিন ওঁঙ্কার, শান্তি পাঠ ও মঙ্গলাচরণ মন্ত্র উচ্চারণের পর অনুষ্ঠানের মূলপর্বের সূচনা ঘোষিত হয়৷ এরপর স্বামী বিবেকানন্দের প্রতিকৃতির সামনে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন মুখ্য অতিথি, রামকৃষ্ণ মিশন, করিমগঞ্জের অধ্যক্ষ স্বামী প্রভাসানন্দ মহারাজ, সরস্বতী বিদ্যানিকেতনের প্রধান আচার্য অঞ্জন গোস্বামী এবং নগরপ্রমুখ অধ্যাপক মৃণাল কান্তি দত্ত।
স্বাগত ভাষণে নগরপ্রমুখ অধ্যাপক মৃণাল কান্তি দত্ত বলেন, ২০১৭ সালে বিবেকানন্দ কেন্দ্র কন্যাকুমারী, করিমগঞ্জের জন্ম লগ্ন থেকেই কেন্দ্রের দুটি মূল লক্ষ্য মানব নির্মাণ ও রাষ্ট্র পুনরুত্থানকে সামনে রেখে কেন্দ্রের চারটি কার্যপদ্ধতি যথা কেন্দ্র বর্গ, যোগ বর্গ, সংস্কার বর্গ ও স্বাধ্যায় বর্গ নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছে । এছাড়াও কেন্দ্রের মূল পাঁচটি উৎসব গুরু পূর্ণিমা, বিশ্ব ভাতৃত্ববোধ দিবস, একনাথরাণাডের জন্মদিন -সাধনা দিবস, গীতা জয়ন্তী, বিবেকানন্দ জয়ন্তী, সমর্থ ভারত পর্ব পালন , সাংস্কৃতিক কার্যসূচি, স্বাস্থ্যশিবির ও অন্যান্য সমাজসেবা মূলক কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছে৷ সম্প্রতি তা কার্যস্থান থেকে নগরস্থানে পরিণত হয়৷
স্বামী প্রভাসানন্দ মহারাজ বলেন, ১২৮ বছর আগে চিকাগোতে অনুষ্ঠিত ধর্ম মহাসমাবেশে স্বামী বিবেকানন্দ সনাতন ধর্মের প্রকৃত স্বরূপ “বিশ্বজনীন সহনশীলতা ও গ্রহণযোগ্যতা” সমগ্র বিশ্বের কাছে তুলে ধরেন৷
স্বামী বিবেকানন্দ দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছিলেন, আমি ধর্ম চাই না, আমি চাই ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য অন্ন৷ স্বামী বিবেকানন্দ ছিলেন জাতিভেদ প্রথার কঠোর বিরোধী এবং সকল ধর্মের মানুষের প্রতি ছিল তাঁর উদার সহমর্মিতা । স্বামী বিবেকানন্দ ছিলেন এমন এক বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব, যার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এক বিদেশিনী, ভগিনী নিবেদিতা ,ভারতবাসীর সেবায় নিজেকে নিঃস্বার্থভাবে নিয়োজিত করেছিলেন । স্বামীজির মূল ধর্মই হল মানবজাতির কল্যাণ। সভায় প্রধান আচার্য অঞ্জন গোস্বামী, প্রবালরঞ্জন দেব প্রমুখও বক্তব্য রাখেন।