NE UpdatesBarak UpdatesHappeningsBreaking News
এপিএসসিতে মণিপুরি, হিন্দি ‘কোয়ালিফাইং ল্যাঙ্গুয়েজ’ নয় কেন, জানতে চাইলেন কৌশিক
ওয়েটুবরাক, ১৩ জুলাইঃ এপিএসসি-র পরীক্ষাগুলোতে অসমিয়া, বাংলা ও বড়ো ভাষার মত মণিপুরিকেও কেন ‘কোয়ালিফাইং ল্যাঙ্গুয়েজ’ করা হয় না, জানতে চাইলেন লক্ষীপুরের বিজেপি বিধায়ক কৌশিক রাই। অন্যান্য বিভাগীয় পরীক্ষার ক্ষেত্রেও তিনি চান, মণিপুরি ‘কোয়ালিফাইং ল্যাঙ্গুয়েজ’ হোক। একই প্রশ্ন তিনি করেন হিন্দিভাষা নিয়েও। হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা বলে উল্লেখ করে তিনি জানতে চান, এমন ভাষাটিও কেন এপিএসসি-র পরীক্ষায় ‘কোয়ালিফাইং ল্যাঙ্গুয়েজ’ নয়?
কর্মচারী বিষয়ক দফতরের মন্ত্রী হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এ সব প্রশ্নের লিখিত জবাব দেন। তিনি জানান, রাজ্যের সরকারি ভাষা হিসেবে অসমিয়া, বরাক উপত্যকার সরকারি ভাষা হিসেবে বাংলা এবং বড়োল্যান্ডের সরকারি ভাষা হিসেবে বড়ো এপিএসএসি-র পরীক্ষার জন্য কোয়ালিফাইং ল্যাঙ্গুয়েজ হয়ে উঠেছে। হিন্দি কেন নয়, এর জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এপিএসসি-র কম্বাইন্ড কমপিটিটিভ এগজামিনেশন পাস করে যারা আসাম সিভিল সার্ভিস অফিসার হবেন বা এই ধরনের কোনও চাকরি করবেন, তারা অসমেই কাজ করবেন, এটা স্বাভাবিক। সে জন্যই রাজ্যের সরকারি ভাষা বা সহযোগী ভাষার প্রয়োজনীয় ন্যূনতম জ্ঞান তাঁদের রয়েছে কিনা, তা যাচাই করা হয়।
কৌশিকবাবু মণিপুরি এবং হিন্দি সাহিত্যকে এপিএসসির পরীক্ষার অন্তর্ভুক্ত করতেও সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন। দাবির পক্ষে তিনি যুক্তিও তুলে ধরেন। বলেন, আসাম মণিপুরি সাহিত্য পরিষদ বহুবার এ ব্যাপারে স্মারকলিপি পেশ করেছে। এর পরও মণিপুরিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। রয়েছে শুধু অন্য ছয়টি ভাষাসাহিত্য। সেখানে হিন্দি পর্যন্ত ব্রাত্য বলে অভিযোগ-অভিমান প্রকাশ করেছিলেন প্রথমবারের বিধায়ক। তাঁর বক্তব্য, অনেকদিন ধরে হিন্দিভাষী, চা জনসমুদয় মঞ্চ, বরাক হিন্দি সাহিত্য সমিতি, সর্ব হিন্দুস্থানি পরিষদ, ভোজপুরি পরিষদ, মারোয়াড়ি সমাজ এবং অন্যান্য হিন্দিভাষী সংগঠন এই দাবি জানিয়ে আসছেন।
মুখ্যমন্ত্রী কৌশিকবাবুকে জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার মণিপুরি ভাষাসাহিত্যকে অন্তর্ভুক্ত করার কোনও সিদ্ধান্ত এখনও নেয়নি। দ্বিতীয়ত, যে ছয় ভাষার কথা কৌশিকবাবু উল্লেখ করেছেন, এর মধ্যে হিন্দিও রয়েছে। ফলে হিন্দিকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি যে অর্থহীন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর জবাবে স্পষ্ট করে দিয়েছেন।