NE UpdatesHappeningsBreaking News
উচ্ছেদে বাধা, থানা থেকেই মুক্তি পেলেন বিধায়ক শেরমান
ওয়েটুবরাক, ২৭ ডিসেম্বর : গরুখুঁটি, কার্বি আংলং, করিমগঞ্জ সহ বিভিন্ন জায়গায় উচ্ছেদের পর সোমবার অভিযান চালানো হয় বরপেটা জেলার বাঘবর এলাকায়৷ প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে আটক হলেন স্থানীয় বিধায়ক শেরমান আলি আহমেদ৷ পরে পুলিশ বিধায়ককে বরপেটা থানায় নিয়ে যায়৷ দিনভর উচ্ছেদ শেষে সন্ধ্যায় তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়৷ বহু সমর্থক বিধায়ককে স্বাগত জানিয়ে উচ্ছেদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়৷
জেলা প্রশাসনের অভিযোগ, ১৯৯২ সাল থেকে ৪৫টি পরিবার ৪০০ বিঘা সত্রের জমি অবৈধ ভাবে দখল করে রেখেছে৷ বারবার তাদের নোটিশ পাঠানো হয়, মাইক লাগিয়ে ঘোষণা করা হয়৷ কিন্তু সাড়া মিলছিল না৷ তবে এ বার উচ্ছেদের চূড়ান্ত প্রস্তুতি দেখে রবিবার থেকে দখলদাররা জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে শুরু করে৷
সোমবার সকালে মহিলা-শিশুর আর্ত চিৎকারের মধ্যে যখন বুলডোজার একের পর এক বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দিচ্ছিল, তখন সেখানে উপস্থিত হন বাঘবরের বিধায়ক শেরমান আলি ৷ তিনি উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদ করেন৷ প্ল্যাকার্ড হাতে বুলডোজারের সামনে বসে পড়েন৷ তাঁর কথায়, এই ভাবে উচ্ছেদ করে অসম সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে৷ ভূমিহীনদের পাট্টা দেওয়ার বদলে ঘরবাড়ি ভেঙে উচ্ছেদ করছে৷ তিন দশক ধরে সরকারি জায়গায় বসবাসকারীদের আইনত উচ্ছেদ করা যায় না বলেই জানান তিনি৷ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ কর্তারা তাকে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানালে তিনি আওয়াজ তোলেন, বাঘবরে উচ্ছেদ করতে হলে তার দেহের উপর দিয়ে বুলডোজার চালাতে হবে৷ এর পরই তাঁকে সেখান থেকে তুলে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়৷
জেলা প্রশাসনের বক্তব্য, বাঘবরের ওই জমিতে বসবাসকারীরা মোটেও ভূমিহীন ছিলেন না৷ এক এক জনের দখলে ছিল ১০-১২ বিঘা জমি৷ অনেকে অন্যের কাছে সরকারি জমি লিজে দিয়ে নিয়মিত অর্থ আদায় করছিল৷