Barak UpdatesHappeningsBreaking News
বাকসের বর্ষসেরা অনুষ্ঠানে দুই বিধায়ক, দুটি প্রতিশ্রুতি
ওয়ে টু বরাক, ২৬ নভেম্বর : বরাক উপত্যকা ক্রীড়া সাংবাদিক সংস্থা অর্থাৎ বাকস-এর কাছাড় জেলা কমিটির বর্ষসেরা অনুষ্ঠান রবিবার শিলচরের এক নামি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সংগঠনের বিচারে সেরা ক্রীড়া সাংবাদিক, সেরা সংগঠক, সেরা ও প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের পুরস্কৃত করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুই বিধায়ক, যথাক্রমে শিলচরের দীপায়ন চক্রবর্তী ও সোনাইয়ের করিমউদ্দিন বড়ভূঁইয়া। রাজনীতি থেকে দূরত্ব বজায় রেখে দুজনই খেলোয়াড় সুলভ মানসিকতা নিয়ে বক্তব্য রেখেছে। তাদের মুখে শোনা গিয়েছে প্রতিশ্রুতির কথা।
প্রথমে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সোনাইর বিধায়ক করিমউদ্দিন বড়ভূঁইয়া বলেন, এই অনুষ্ঠানে না এলে তিনি বুঝতে পারতেন না যে রাজনীতির বাইরেও একটা সুন্দর জগত রয়েছে। যেখানে একে অন্যের প্রতি কাদা ছোড়াছুড়ি নেই, কোনও স্বার্থের গন্ধ নেই। তিনি প্রস্তাব দেন, বাকস ঠিক এভাবেই একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারে। এতে বাইরের কোনও শিল্পী থাকবে না। স্থানীয়দের নিয়েই অনুষ্ঠান হবে এবং তিনি নিজেও এতে অংশ নেবেন। প্রসঙ্গক্রমে সোনাইর বিধায়ক বিজেপি নেতা কনাদ পুরকায়স্থের দূরদর্শনে সংবাদ পাঠ এবং গুরুগম্ভীর কন্ঠে আবৃত্তির প্রশংসা করেন। বাকস এমন একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করলে তিনি সব ধরনের সহযোগিতা করবেন বলে এদিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে বাকস এমন অনুষ্ঠান আয়োজন করবে কিনা তা ভবিষ্যৎ-ই বলবে।
শিলচরের বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী একটি সুন্দর গল্পের অবতারণা করে দীর্ঘ ২৫ বছর জুড়ে বাকসের কর্মতৎপরতার প্রশংসা করেন। বলেন, গত কয়েক বছর থেকেই তিনি নানাভাবে বাকসের সঙ্গে জুড়ে রয়েছেন। জেলার খেলাধুলার কেন্দ্রস্থল জেলা ক্রীড়া সংস্থার উন্নয়নে তিনি সচেষ্ট রয়েছেন বলে এদিন উল্লেখ করেছেন। দীপায়ন বলেছেন, শিলচর স্টেডিয়ামকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। চত্বরে প্রবেশের মুখে সিসি ব্লক বসানো হয়েছে এবং স্টেডিয়ামের পেছনের রাস্তাটিও সিসি ব্লক দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, স্টেডিয়ামের ভেতরে অর্ধ নির্মিত গ্যালারি গুলোর মধ্যে অন্তত দুটি সম্পূর্ণ করা যায় কিনা সে ব্যাপারে তিনি চেষ্টা করছেন। এই নতুন কাজ ছাড়াও কয়েকটি সংস্কারমূলক কাজ করা হবে। তবে এজন্য তিনি ক্রীড়া প্রেমী মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন।
বিধায়ক এদিন রাজ্য সরকারের গ্রহণ করা দুটি প্রকল্প খেল মহারণ ও সাংস্কৃতিক মহা সংগ্রামের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার উদ্যোগে এই দুটি কর্মসূচি রাজ্যে ব্যাপক ছাড়া ফেলেছে বলে দাবি করেন। বিশেষ করে খেল মহারণ কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলের প্রতিভাবান খেলোয়াড়রা বেরিয়ে আসছে বলে তিনি মত প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি বলেছেন, বাকসের আগামী কর্মযজ্ঞে তিনি যেমন শামিল হবেন তেমনি এই অঞ্চলের খেলাধুলার উন্নয়নে সব সময় সচেষ্ট থাকবেন।