Barak UpdatesHappeningsBreaking News
বরাক সফরে সৎসঙ্গ প্রধান, কর্মেই গুরুত্ব
ওয়েটুবরাক ২১ জানুয়ারি : হাজার হাজার ভক্তের উপস্থিতিতে করিমগঞ্জে শুরু হল দুদিন ব্যাপী মহোৎসবের । শনিবার দুপুরে নীলমণি স্কুলের খেলার মাঠে সৎসঙ্গের বর্তমান প্রধান শ্রীশ্রী বাবাই দাদার আগমন উপলক্ষে আয়োজিত উৎসবের সূচনা হয়। এদিন বেলা তিনটার দিকে করিমগঞ্জে উপস্থিত হন বর্তমান আচার্যদেব শ্রীশ্রী অর্কদ্যুতি চক্রবর্তী। জেলা সদরে প্রবেশ করে সোজা চলে যান করিমগঞ্জ কলেজের মাঠে দীক্ষাকেন্দ্রে । সেখানে শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সৎদীক্ষা দেন ভক্তদের। সেখান থেকে স্টিমার ঘাট জাহাজ গোদামে গিয়ে সেখানেও দীক্ষা প্রদান করেন ।
তাঁর আগমন উপলক্ষে দুদিন থেকে উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা করিমগঞ্জে ছুটে এসেছেন । দীক্ষা পর্ব শেষ করে তিনি নীলমণি স্কুলের খেলার মাঠে নির্মিত বিশাল মঞ্চে উপস্থিত হন । সেখানে নিজের আশীর্বচন শুরু করতে গিয়ে প্রথমেই বলেন, দুর্বল ভক্তির পরিচয় হচ্ছে পা ছুঁয়ে প্রণাম । প্রণামের আসল পদ্ধতি হচ্ছে ঠাকুর বলেছেন, নিজের শরীরের মাপের মত জায়গা ছেড়ে প্রণাম করলে প্রসাদ পাওয়া যায় । সুতরাং এই নিয়ম মেনে প্রণাম করতে হবে। তবেই আসল প্রসাদ পাওয়া যাবে। কেবল মাত্র দর্শন করলে হবে না, ঠাকুর জীবনে চলার যে বাণী বা পথ দেখিয়েছেন সেসব মেনে চলতে হবে । জীবনে চলার বা জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার প্রধান হচ্ছে কর্ম । কর্ম করলে তবেই ফল পাওয়া যাবে । আমি জীবনে সফলতা পাবো অথচ চেষ্টা করবো না, বা কর্ম করবো না, সেভাবে সফলতা আসবে না। সফল হওয়ার জন্য কাজ করতে পরামর্শ দেন তিনি । এক এক সিঁড়ি চড়ে তবেই সফলতার মাইলস্টোন ছোঁয়া যাবে। তিনি বলেন, জীবনে কী চায় মানুষ সেটা তার নিজেকে ভাবতে হবে । আর সিদ্ধান্ত নিতে হবে । জীবনে লক্ষ্য স্থির না করলে পথভ্রষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাই লক্ষ্য স্থির করে এগোতে হবে। জীবনে শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন শ্রীশ্রী বাবাই দাদা । বলেন, শিক্ষাই মানুষকে ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার পথ দেখায় । টাকা-পয়সা আছে, অথচ শিক্ষা নেই এমন হলে পুরো জীবন নিশ্চিন্তে কাটাতে পারবে না কেউ। শিক্ষা মানুষকে লক্ষ্যে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। তবে বাচ্চাদের হাতে খড়ি দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আইনস্টাইনকে কোনও দিন হাতেখড়ি দেওয়া হয়নি। এমন অনেক বিদ্বান আছেন যাদের হাতেখড়ি হয়নি । কিন্তু এরা মহাপণ্ডিত । পড়াশুনার মাধ্যমে জীবনে এগিয়ে যাওয়ার পথ বাৎলে দেন তিনি । এদিন আধ ঘন্টার বেশি সময় বক্তব্যে মানুষকে জীবনে চলার পথ বলে দেন আচার্যদেব । মহোৎসবের প্রথম দিন রাতে ভক্তিমূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয় ।