NE UpdatesHappeningsBreaking News

কর্ণাটকের ফল অক্সিজেন জোগাল আসামের কংগ্রেসিদের

ওয়েটুবরাক, ১৪ মে: শনিবার প্রাণ ফিরে পেল গুয়াহাটির রাজীব ভবন। হল মিষ্টি বিতরণ। চলল নাচ-গান। বুক ফুলিয়ে, মাথা উঁচিয়ে টিভি ক্যামেরায় বাইট দিলেন কংগ্রেস নেতারা।  সৌজন্যে কর্ণাটকের ফল। আসামে নেতাহীন, দিশাহীন বলে কংগ্রেসকে তাচ্ছিল্য করে চলেছে বিজেপি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার তারকা প্রচারক হিসেবে পরপর জনসভা করা কর্ণাটকে বিজেপির মুখ থুবড়ে পড়ায় পাল্টা লড়াইয়ের অক্সিজেনটুকু পেয়েছে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া আসাম প্রদেশ কংগ্রেস।

বিরোধী দলনেতা দেবব্রত শইকিয়া বলেন, কর্ণাটকের মানুষ সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে মত দিয়েছেন। সেখানে মোদীর ম্যাজিক চলল না। বিজেপি সেখানে সাম্প্রদায়িকতা ও বিভাজনের খেলা খেলেছিল। কিন্তু মানুষ বুঝে গিয়েছে বিজেপির চাল। এখান থেকে কংগ্রেসের পুনরুত্থান শুরু হবে।
কর্ণাটক ভোটে প্রচারে ব্যাপকভাবে অংশ নিয়েছিলেন হিমন্ত। ফল প্রকাশের পরে তিনি বলেন, “কর্ণাটক নির্বাচনে কংগ্রেসের জয় আগে থেকেই নিশ্চিত ছিল। প্রাক নির্বাচন সমীক্ষাতে সেই ধারাই দেখা গিয়েছিল। তাই এই জয়ে অবাক হওয়ার কিছু নেই। তবে আমি যেখানে প্রচার চালিয়েছি তার বেশিরভাগ কেন্দ্রেই জিতেছে বিজেপি। কর্ণাটকের ফলের সঙ্গে অন্য রাজ্য বা লোকসভা ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই।”
আসাম তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রিপুন বরা বলেন, “এই ফল গণতন্ত্রের জয়। এই জয়ে দক্ষিণ ভারত বিজেপিমুক্ত হল। আগামী লোকসভা ভোটে গণতন্ত্র রক্ষায় বিজেপি বিরোধী শক্তির ভিত মজবুত করল এই জয়।”
হিমন্ত অবশ্য বলেন, “দেশে যত মহাজোটই হোক প্রধানমন্ত্রী মোদিই থাকছেন।”
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন বরা বললেন, “বিজেপি সরকার রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ করলেও তিনি আজ অপ্রতিরোধ্য। ভারত জোড়ো যাত্রার সময় কর্ণাটকের যে ২২টি কেন্দ্রে তিনি জনসভা করেছিলেন তার সবকটিতে কংগ্রেস জিতেছে। এরপর মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থানেও বিজেপি ধাক্কা খাবে।”

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker