Barak UpdatesHappeningsBreaking News
বকেয়া ২৭ লক্ষ বিদ্যুৎ বিল ! সংযোগ ছিন্ন করায় তিন ঘণ্টা অন্ধকারে ছিল গোলদিঘি মল
২৬ আগস্ট ঃ শিলচর গোলদিঘি মলের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল ২৭ লক্ষ টাকা না দেওয়ায় শুক্রবার দুপুরে হঠাত করেই বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করে দেয় আসাম বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি। এ নিয়ে অন্ধকার মলে এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে অবশ্য বিকেলের দিকে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার পর সাড়ে চারটা নাগাদ পুনরায় সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, প্রতি মাসেই মলের দোকান মালিকদের কাছ থেকে সময়মতো বিদ্যুৎ বিল আদায় করে নেয় পুরসভার অধীনে থাকা মল ম্যানেজমেন্ট কমিটি। কিন্তু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা তুললেও তা এপিডিসিএল-কে জমা করেনি পুরসভা। একটি সূত্রে জানা গেছে, বন্যার আগেই বকেয়া বিল এসেছিল মলে। কিন্তু হঠাত করে বন্যা এসে যাওয়ায় সেই টাকা জমা করা সম্ভব হয়নি। এরপর পুরসভার পক্ষ থেকে বন্যার কারণ দেখিয়ে কয়েকদিন অতিরিক্ত সময় চাওয়া হয়েছিল। সেইমতো ২৫ আগস্ট বিল জমা দেওয়ার শেষ তারিখ দিয়ে রেড নোটিশ ধরিয়ে দেওয়া হয়। মলের ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, তাঁদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হলেও তা বিদ্যুৎ বিভাগে জমা করেনি পুরসভা। এরপরই শুক্রবার দুপুর দেড়টা নাগাদ লাইন কেটে দেওয়া হয়।
দুপুরে গোলদিঘি মল মার্চেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দীপন দেওয়ানজি এএসইবির এসডিও-র সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেন। কিন্তু বিদ্যুৎ কর্তা সাফ জানিয়ে দেন, টাকা পেলেই তাঁরা সংযোগ দেবেন। অন্যথায় নয়। এরপরেই এ নিয়ে তুলকালাম শুরু হয়। ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। তাঁদের কথায়, সময়মতো প্রত্যেক ব্যবসায়ী বিল জমা করলেও কেন পুরসভা তা বিদ্যুৎ বিভাগকে পাঠায়নি। গোলদিঘি মলের এক ব্যবসায়ী সন্দীপ পাল বলেন, এর আগেও তাঁরা মলের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার আশুতোষ ডেকাকে স্মারকপত্র দিয়েছিলেন। কিন্তু কিছুই হয়নি।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার পুরসভার গাফিলতির জন্য গোটা মল যে তিন ঘণ্টা অন্ধকারে ছিল, তাতে অনেক ব্যবসায়ীর মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। কারণ ক্রেতারা মলে এলেও অন্ধকার থাকায় বেরিয়ে গেছেন। এমনকি অনেকের শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যাও দেখা দিয়েছিল। ব্যবসায়ীদের এই ক্ষতি কে পূরণ করবে, এমন প্রশ্নও ছুড়ে দেওয়া হয় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে।