Barak UpdatesHappeningsBreaking News
হাইলাকান্দি পুলিশ সুপারের বদলির দাবি জানালো ভিএইচপি
ওয়েটুবরাক, ১১ জুলাই : বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সহ বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের নেতৃবর্গের সাথে পুলিশের অভদ্র আচরণ, পুরুষ পুলিশ কর্মী দ্বারা বিদ্যার্থী পরিষদের মহিলা কার্যকর্তার গায়ে হাত লাগানো, অনৈতিক উপায়ে ১২জুন যুবককে আটক করে পরে সাদা কাগজে হস্তাক্ষর নিয়ে মুক্ত করার অভিযোগ করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দক্ষিণ পূর্ব প্রান্ত।
বরাক উপত্যকা, বিশেষ করে হাইলাকান্দি জেলার হিন্দু মঠ মন্দিরে নিষিদ্ধ সামগ্রী নিক্ষেপ, হিন্দু নারীদের অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার বিরুদ্ধে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সহ বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের যৌথ আহ্বানে সোমবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত হাইলাকান্দি জেলার চারটি স্থানে প্রতিবাদী ধর্না কার্যসূচি অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদী ধর্নায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দক্ষিণ পূর্ব প্রান্ত সভাপতি শান্তনু নায়েক, সম্পাদক স্বপন শুক্লবৈদ্য সহ প্রান্তের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়াও বজরং দল, দুর্গা বাহিনী, হিন্দু জাগরণ মঞ্চ, অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ, মাতৃ শক্তি, সহকার ভারতী, রবিদাস উন্নয়ন সংস্থা সহ সংঘ পরিবারের বিভিন্ন শাখা সহ বিবিধ হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যরা ওই প্রতিবাদী কার্যসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।
লালা, কাটলিছড়া ও আলগাপুর সার্কল অফিসের সামনে ধরনা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হলেও হাইলাকান্দি এসপি অফিসের সম্মুখে প্রতিবাদী ধরনায় বেশ কিছুটা উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। তাদের কথায়, পুলিশ সুপার নীলা দোলের নেতৃত্বে বল প্রয়োগ করে প্রতিবাদ বন্ধ করার চেষ্টা করলে অনিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের এক সদস্যার গায়ে ধাক্কা দিয়েছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। ওই যুবতী উপযুক্ত বিচার প্রার্থনা করেছেন। এক প্রতিবাদকারী পুলিশকে পেয়ে পানীয় জলের কথা বললে সেই পুলিশ কর্তা বৃষ্টির জল পান করার কথা বলেন। পুলিশের এই অমানবিক মন্তব্যে তীব্র অসন্তোষ ব্যক্ত করেছেন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তা ছাড়াও হাইলাকান্দিতে আটক করা হয় ১২ জন প্রতিবাদকারীকে। যদিও পরে সাদা কাগজে সই নিয়ে তাদেরকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এসব বিষয় নিয়ে মঙ্গলবার তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রান্ত সভাপতি শান্তনু নায়েক ও সম্পাদক স্বপন শুক্লবৈদ্য। প্রান্ত সম্পাদক স্বপন শুক্লবৈদ্য জানান, সোমবার তিনি সহ আরও কয়েক জন হিন্দুত্ববাদী নেতা এসপি লীনা দোলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন৷ কেন তাদের কার্যসূচিতে বাধা দেওয়া হয়েছে জিজ্ঞেস করলে তিনি অশুভ আচরণ করেছেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা এসপি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে আসেন।
নেতাদের কথায়, এ সব ঘটনা সহ আরও অনুরূপ এমন ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা এবং জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। তবে বর্তমান পুলিশ সুপার লিনা দোলে এই দায়িত্বে থাকলে কতটুকু বাস্তবে প্রতিফলিত হবে এনিয়ে আশঙ্কা ব্যক্ত করেন ভি এইচ পি নেতারা।
শান্তনু নায়েক ও স্বপন শুক্লবৈদ্য প্রশ্ন তোলেন, “ভারতবর্ষে বসবাস করে ভারতেই যদি অবহেলিত হয়ে থাকি, তাহলে আমরা কোথায় যাবো? আমাদের মা বোনদের কি কোনো সম্মান নেই!” সোমবার হাইলাকান্দি জেলায় শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে এধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টির জন্য হাইলাকান্দি জেলা পুলিশ সুপার লিনা দোলেকে দায়ী করেন। তাই জেলায় আইন পরিস্থিতি উন্নত করার জন্য পুলিশ সুপারকে অনতিবিলম্বে বদলির দাবি জানান নেতৃবর্গ। অন্যথায় গণতান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন ভি এইচ পি নেতৃবর্গ।