Barak UpdatesHappeningsCulture
পড়ুয়াদের অংশগ্রহণে মহর্ষি বিদ্যামন্দিরের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
ওয়ে টু বরাক, ৬ ফেব্রুয়ারি : করোনার আবহ কাটিয়ে দু’বছর পর গত ৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাজীব ভবনে অনুষ্ঠিত হল মহর্ষি বিদ্যামন্দিরের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পরম্পরাগত ঐতিহ্য মেনে গুরু পূজনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানটি দুটি পর্যায়ে হয়। প্রথমপর্বে সকালে ক্লাস নার্সারি থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা সমবেত নৃত্য ও সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করে।
এ দিন সন্ধ্যায় দ্বিতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। প্রথমে বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষা সমিতা দত্ত ও এদিনের অনুষ্ঠানের মুখ্য অতিথি ৩৯ আসাম রাইফেস্ “আই জি এ আর” ইষ্ট এর কমান্ডিং অফিসার কর্নেল আকাশ কুমার প্রদীপ প্রজ্বলন করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। তারপর স্কুলের পক্ষ থেকে অধ্যক্ষাকে সম্মাননা প্রদান করা হয় এবং মুখ্য অতিথিকে বরণ করে নেওয়া হয়।
স্বাগত বক্তব্যে অধ্যক্ষা সমিতা দত্ত বলেন, বর্তমানে আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের বর্ষপূর্তি চলছে এবং এই বিষয়কে নিয়েই আমাদের অনুষ্ঠান। আজকের এই ব্যস্ত জীবনে আমাদের প্রত্যেকের মহর্ষিজির অনুমোদিত ভাবাতীত ধ্যান করা আবশ্যক। বিশ মিনিটের ধ্যান আমাদের আট ঘণ্টার ঘুমের সমান। তিনি এ দিন ছাত্রছাত্রীদের মোবাইল থেকে দূরে থাকার আহ্বান করেন।
মুখ্য অতিথি কর্নেল আকাশ কুমার তাঁর বক্তব্যে বলেন, আজকের দিনের কচিকাঁচারাই আমাদের আগামী দিনের দেশের ভবিষ্যৎ। তাই তাদের সঠিকভাবে গড়ে তুলতে গেলে উপযুক্ত শিক্ষার প্রয়োজন, যাতে তারা ভবিষ্যতে দেশের সেবায় নিজেদের নিযুক্ত করতে পারে। এদিন বিগত তিন বছরের শিক্ষাবর্ষে যথাক্রমে ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২ এ দশম ও দ্বাদশ শ্রেণিতে যে সব শিক্ষার্থীরা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন তাদের প্রত্যেককে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
তাছাড়াও ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে এ দিন অন্যান্য বিভাগে যারা কৃতিত্ব অর্জন করেছে তাদেরও সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।১৯৯৫ ও ১৯৯৬ ইংরেজি থেকে যে সব শিক্ষক শিক্ষিকারা স্কুলে কাজ করে আসছেন তাদেরও এদিন সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। তারা হলেন কস্তুরী পাল, মালবিকা সেন, বীরেশ্বর ভট্টাচার্য্য, বিশ্বরাজ চক্রবর্তী, সুস্মিতা সেন, বিন্দু সিং, পারমিতা দাস চৌধুরী, মঞ্জুলাল দাস, গোবিন্দ বনিক, ইন্দিরা সিং ও মধুমিতা দে। দ্বিতীয় পর্যায়ের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সপ্তম শ্রেণির তদুর্ধ ছাত্রছাত্রীরা সমবেত দেশাত্মবোধক সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করে। সবশেষে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের আঙ্গিকে যন্ত্র সঙ্গীতের একটি অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। অনুষ্ঠানটি দর্শকদের খুব মনোগ্রাহী হয়। সবশেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
প্রথম পর্যায়ের অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিল একাদশ শ্রেণির ছাত্র শ্রীজিৎ দাস চৌধুরী ও ছাত্রী জেনিফার আাঁখি। দ্বিতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন স্কুলের শিক্ষিকা শতাক্ষী ভট্টাচার্য্য। পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন স্কুলের শিক্ষিকা গীতা সানা রাজকুমারী।