NE UpdatesBarak UpdatesHappenings
প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকেও বাধার পর বাধা টপকে দেখতে হল নিজের রাজ্যের বনাঞ্চল
২৩ নভেম্বরঃ বাধার পর বাধা টপকে এগোতে হল অসমের বন ও পরিবেশ দফতরের প্রধান সচিব অবিনাশ পুরোষোত্তম দাস যোশিকে৷
বাধার মুখে পড়লেন অন্য রাজ্যে প্রবেশের জন্য নয়, রবিবার নিজের আওতাধীন বনাঞ্চল ও বন-সীমা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন৷ সঙ্গে বনবিভাগের প্রিন্সিপল চিফ কনজারভেটর, চিফ কনজারভেটর সহ এক ঝাঁক বিভাগীয় বড়কর্তা৷ ছিলেন কাছাড়ের জেলাশাসক কীর্তি জল্লিও৷
প্রথম তাদের পথরোধ করে মিজোরামে কর্তব্যরত বিএসএফ। তাঁদের এককথা, কলাশিব জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কাউকে যেতে দেওয়া হবে না৷ তাঁদের সঙ্গে একপ্রস্থ কথা কাটাকাটি হয় প্রধান সচিবের। তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, অসমের ভূমিতে যেতে মিজোরামের অনুমতির কেন প্রয়োজন! দীর্ঘক্ষণ কথা কাটাকাটির পর কিছুটা সামনে এগোতেই বাধা হয়ে দাঁড়ায় আইআরপি। তাদের সঙ্গেও আর এক প্রস্থ কথা কাটাকাটি হয়৷ জেলাশাসক কীর্তি জল্লি কলাশিব জেলাশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে ফোন ধরেননি। এরপর যোগাযোগ করা হয় কলাশিবের পুলিশসুপারের সঙ্গে।
এতে আইআরপি রাস্তা দেয় বটে, কিন্তু ধলাখাল এলপি স্কুলের সামনে মিজোরাম পুলিশ তাদের গাড়ি দাঁড় করিয়ে পথ আটকানোর চেষ্টা করে। সে বাধা উপেক্ষা করেই তাঁরা অসম মিজোরাম সীমান্তে ধলাখাল সেতু পর্যন্ত গিয়ে ফিরে আসেন৷ পরে যোশি খুলিছড়ায় নির্মীয়মান এসএসবি ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। পরে তারা ধলাই ফরেস্ট ইন্সপেকশন বাংলোতে বসে নিজের অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। এতে যোগ দেন বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যও। তিনিই ওই মিজোরাম সীমাঘেষা অঞ্চলের বিধায়ক৷
বৈঠক শেষে ডিএফও সানিদেও চৌধুরী জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত যেটুকু জায়গা মিজোরাম তাদের দখলে নিয়ে রেখেছে সেখান থেকে তাদের আর সামনে এগোতে না দেওয়াই এখন প্রধান কাজ। সঙ্গে অসমের যে জায়গা তাদের দখলে রয়েছে আলোচনার মাধ্যমে তা ফিরিয়ে আনারও প্রয়াস চলছে৷