NE UpdatesIndia & World UpdatesHappeningsBreaking News
প্রাকৃতিক দুর্যোগে মিজোরামে আটকে মায়ানমারের আশ্রিত জওয়ানরা
ওয়েটুবরাক, ১৯ নভেম্বরঃ প্রাকৃতিক দুর্যোগের দরুন মিজোরামে আশ্রিত মায়ানমার সেনা জওয়ানরা দেশে ফিরতে পারছেন না৷ প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ায় উভয় রাষ্ট্রের সবুজ সংকেত মিললেও ভারতীয় বিমান বাহিনীর যে কপ্টার তাদের নিয়ে যাওয়ার কথা, প্রবল বর্ষণে দুদিন ধরে সেটি আইজলে নামতে পারছে না৷
স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহীদের হামলায় পালিয়ে বৃহস্পতিবার মিজোরামে এসে আশ্রয় প্রার্থনা করেন মায়ানমার সেনার আরও ২৯ অফিসার-জওয়ান৷ সীমান্ত থেকে তাদের মর্যাদার সঙ্গে নিয়ে আসে মিজোরাম পুলিশ৷ পরে তুলে দেয় আসাম রাইফেলসের হাতে৷ সে থেকে তাঁরা চাম্পাইয়ে আসাম রাইফেলস শিবিরে রয়েছেন৷
বুধবার রাতে ভারত সীমান্ত সংলগ্ন তুইবোয়াল গ্রামের সেনাশিবিরে হামলা করে বিদ্রোহী পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ)৷ মায়ানমারের ২৯ জওয়ান পালিয়ে প্রাণ বাঁচান৷ তাঁদের মধ্যে রয়েছেন একজন মেজর এবং একজন ক্যাপ্টেনও৷ সেনাশিবির থেকে কয়েক কিলোমিটার দৌঁড়ে তাঁরা তিয়াউ নদী পেরিয়ে ভারতে ঢোকার অনুমতি চান৷ বৃহস্পতিবার ভোরে সাইখুমগ্রামে এসে মিজোরাম পুলিশের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করেন৷ চিনপ্রদেশে ওই সংঘর্ষের দরুন শুধু সেনা অফিসার-জওয়ানরাই নন, মিজোরামে আশ্রয় নিয়েছেন সে দেশের ৬৩ গ্রামবাসীও৷
এর আগেও ৪৫ জওয়ান একই ভাবে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যটিতে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন৷ তাদেরও ভারতীয় সেনা ও বিমান বাহিনী যৌথভাবে নিজ দেশে প্রত্যর্পণ করে৷ গত এক সপ্তাহে ১৪০০-র বেশি নারী-পুরুষ-শিশু মায়ানমার থেকে সীমান্ত পেরিয়ে মিজোরামের চাম্পাই জেলায় প্রবেশ করেন৷ জেলা প্রশাসন তাদের শরণার্থী হিসেবে গ্রহণ করে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে৷ ২০২১ সালে জুন্টা সরকার ক্ষমতায় আসার পর ৩২০০০ মানুষ মায়ানমার থেকে পালিয়ে মিজোরামে আশ্রয় নিয়েছিলেন৷ তাঁরা আজও শরণার্থী হিসেবে মিজোরামেই রয়েছেন৷ পুরনো সংখ্যার সঙ্গে বৃহস্পতিবার ১৪০০ যোগ হল৷