Barak UpdatesHappeningsBreaking News
প্রচণ্ড গরমে তিনদিন ধরে জল নেই দক্ষিণ শিলচরে, চরম দুর্ভোগে জনতা
ওয়েটুবরাক, ১৫ সেপ্টেম্বর : প্রচণ্ড গরমের মধ্যে সোমবার থেকে সমগ্র দক্ষিণ শিলচরে জল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তিনদিন ধরে এলাকা জুড়ে জল নেই৷ জেলাশাসক, পুর প্রশাসনিক কর্তা, বিধায়ক, সাংসদ, রাজনৈতিক নেতা, সদ্যপ্রাক্তন পূরসদস্য কারও কোনও হেলদোল নেই। বর্তমানে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির সদস্যবৃন্দ ও বিধানসভার অধ্যক্ষ এখানে রয়েছেন৷ এদের পেছনেই অধিকাংশ নেতা ছুটছেন৷ কিন্তু রাঙ্গিরখাড়ির পর থেকে প্রায় লক্ষ লোকের বাসভূমিতে এই গরমে যে জল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে, সেদিকে খেয়াল করার ফুসরৎ নেই। সোনাই রোড, লিঙ্ক রোড, হাইলাকান্দি রোড, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ – ন্যাশনাল হাইওয়ে, কাঠাল রোড প্রভৃতি অঞ্চলের অগুনতি লেন-বাইলেনে জলের অভাবে হাহাকার চলছে। সক্রিয়পন্থী প্রবীণ নাগরিক মঞ্চের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক দিলীপকুমার দে মঙ্গলবার জেলাশাসককে জরুরি কাতর আবেদন করেও কোনও সাড়া পাননি। তিনি জানান, আবেদনের প্রতিলিপি মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং শিলচরের সাংসদ ডা: রাজদীপ রায়ের কাছেও পাঠিয়েছিলেন৷
আসাম আরবান ওয়াটার সাপ্লাই এন্ড স্যুয়ারেজ বোর্ড নামক রাজ্য সরকারের প্রতিষ্ঠানটি গুয়াহাটির দিসপুর, শিলচরের দক্ষিণ ভাগ ও যোরহাট শহরের একাংশে তাদের প্লান্টগুলো থেকে উচ্চমূল্যে জল সরবরাহ করে থাকে। শিলচরের হাইলাকান্দি রোডস্থ প্লান্টটি স্থাপিত হয়েছিল প্রয়াত বিধায়ক বিমলাংশু রায়ের উদ্যোগে। তারপর কোনও ওভারহেড ট্যাঙ্ক পর্যন্ত তৈরি হয়নি।
দিলীপবাবুর অভিযোগ, পুরনো লোকরা অনেকে একে বিমলাংশুবাবুর প্লান্ট বলে থাকেন। কিন্তু তাঁর পুত্র সাংসদ ডা: রাজদীপ রায়কে সেকথা বার বার স্মরণ করিয়ে দিলেও তিনি এটির উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ করতে ব্যর্থ রয়েছেন। তিনি ক্ষোভের সুরে বলেন, পুরনো শিলচরের বাসিন্দারা বাড়িতে জলসংযোগের জন্য মাসিক একশো টাকা দিচ্ছেন। আর দক্ষিণ শিলচরের প্রতিটি বাড়ির কানেকশনে মিটার রিডিং অনুসারে প্রতি লিটার জলের দাম দিতে হয়৷ ব্যবহার না করলেও মাসিক ন্যূনতম তিনশো টাকা ৷ প্রতি মাসে বিলের টাকা হাইলাকান্দি রোডস্থ অফিসে গিয়ে নগদ অর্থে জমা দিয়ে রসিদ আনতে হয়। সেখানে আবার চেক অগ্রাহ্য৷তিনদিন ধরে জল বন্ধ থাকার কারণ, বোর্ডের শিলচর ও যোরহাটের কর্মীরা গত নয় মাস থেকে বেতন বঞ্চিত। তাই বেতনের দাবিতে তাঁরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করছেন৷ প্রবীণ নাগরিক মঞ্চ কর্মীদের বেতনহীনতাকে মানবিক দৃষ্টিতেই দেখতে চায়৷ তাই তাদের বকেয়া বেতন মিটিয়ে দ্রুত জল সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি জানায়৷