পুরকর বৃদ্ধির প্রতিবাদে সোমবার দেড়ঘণ্টার গণধর্ণা

ওয়েটুবরাক, ২৭ জুলাই : শিলচর পুরসভার আধিকারিক কর্তৃক বেআইনিভাবে বর্ধিত জলকর, পুরকর, ট্রেড লাইসেন্স ফি ও অন্যান্য কর অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিতে আগামী ২৯ জুলাই, সোমবার বেলা সাড়ে এগারোটা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত পুরসভা কার্যালয়ের সামনে গণধর্ণায় বসবে প্রগতিশীল নাগরিক সমন্বয় মঞ্চ, শিলচর ৷ তাতে সামিল হতে পুর নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানান সমন্বয় মঞ্চের নেতৃবৃন্দ।

আজ শনিবার শিলচরের ট্রাঙ্করোড স্থিত সিটিভিওএ কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, শিলচর শহরের সচেতন নাগরিকবৃন্দ ও বিভিন্ন সংগঠনের উপস্থিতিতে গত ১৪ জুলাই গঠিত হওয়া প্রগতিশীল নাগরিক সমন্বয় মঞ্চ, শিলচর এর পক্ষ থেকে জেলাশাসক, ও পুরসভার আধিকারিকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করে অন্যায় ও বেআইনিভাবে বর্ধিত জলকর, পুরকর, জমি কেনা বেচার কর, ট্রেড লাইসেন্স ফি, ভাঙা সড়ক, ফুটপাত নির্মাণ ইত্যাদি দাবি পূরণের আবেদন জানানো হয়। কিন্তু জেলা প্রশাসন ও পুরসভার পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব শর্মা বলেন, যেহেতু পুর নির্বাচন হয়নি, তাহলে কোন্ আইনে তত্বাবধায়ক আধিকারিক পুরকর, জলকর বৃদ্ধি করলেন। তিনি বলেন, জনগণের অধিকার রয়েছে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নিজেদের ন্যায় সঙ্গত দাবি তুলে ধরার। তিনি আগামী সোমবার সবাইকে গণধর্ণায় সামিল হতে আহ্বান জানান। সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক কিশোর ভট্টাচার্য বলেন, কর্দমাক্ত পানীয় জল সরবরাহ করে পৌরসভা জলকর প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধি করেছে। পৌরসভার আধিকারিক শহরবাসীকে ন্যূনতম পরিষেবা প্রদানে ব্যর্থ। জমাজল, ভাঙা সড়কের যন্ত্রণায় নাজেহাল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সংগঠনের সম্পাদক মনোজ পাল অভিযোগ করেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নিজেদের কথা বলার অধিকার ভারতের সংবিধান প্রদান করেছে। অথচ মাইকযোগে প্রচারের অনুমতি চাইলে প্রশাসন দেয় না। সংগঠনের সহ সভাপতি নন্দদুলাল সাহা বললেন পূরকর, জলকর, ট্রেড লাইসেন্স ফি ইত্যাদি বৃদ্ধির প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা বলেছেন তারা দু’ঘন্টা দোকানপাট বন্ধ করে সবাই গণধর্ণায় সামিল হবেন। সংগঠনের অন্যতম সহ সভাপতি মহিতোষ পাল বলেন, জমাজল সমস্যা এবং বন্যার স্থায়ী সমাধানের দাবিও সংগঠনের রয়েছে। ডাঃ এম শান্তি কুমার সিংহ এই আন্দোলনে জাতি, ধর্ম, ভাষা, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই সামিল হতে অনুরোধ জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের অন্যতম কোষাধ্যক্ষ মলয় দত্ত এবং সম্পাদক হিল্লোল ভট্টাচার্য প্রমুখ।