India & World UpdatesHappeningsBreaking News
পাকিস্তানে সরকার গড়তে জোট বাঁধছে ভুট্টো-নওয়াজ শরিফের দল
ওয়েটুবরাক, ১২ ফেব্রুয়ারি : পাকিস্তানে জোট সরকার গঠনে তৎপরতা শুরু হল। রবিবার সন্ধ্যায় নওয়াজ শরিফের ভাই তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা, বেনজির-পুত্র বিলাবল ভুট্টো জারদারির লাহোরের বাড়িতে গেলেন। পিপিপি-র তরফে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে এই বৈঠককে দুই দলের ‘প্রথম সরকারি যোগাযোগ’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় শাহবাজ়ের সঙ্গে বৈঠকে বিলাবলের সঙ্গে ছিলেন পিতা আসিফ আলি জারদারিও।
নওয়াজ এবং বিলাবল যখন সরকার গঠনের তোড়জোড় শুরু করছেন, সেই সময় রাস্তায় নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দফতরগুলির সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন পিটিআই সমর্থকেরা। রাওয়ালপিন্ডি এবং লাহোরের পূর্ব প্রান্তের একাধিক জায়গায় পুলিশ এবং পিটিআই সমর্থকদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধেছে। অন্য দিকে পিটিআই-এর অস্বস্তি বাড়িয়ে তাদের সমর্থিত নির্দল প্রার্থী ওয়াসিম কাদির রবিবারই নওয়াজের দলে যোগ দিয়েছেন। এই আবহে জোট সরকারে পিটিআই-এর শামিল হওয়ার সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছেন ইমরানের অবর্তমানে দলের শীর্ষ নেতা গোহর আলি খান।
পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ২৬৪টি আসনে গণনা শেষ হয়ে গেলেও কোনও দলই একক ভাবে ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছাতে পারেনি। ত্রিশঙ্কু ফলাফল হওয়ায় জোট সরকারই ক্ষমতায় আসতে চলছে। পিটিআই সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা ৯৩টি, পিএমএল-এন ৭৩টি এবং পিপিপি ৫৪টি আসনে জিতেছে। অন্যান্য ৩৩।
অন্য দিকে, গণনায় কারচুপির অভিযোগ জানিয়ে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের প্রার্থীরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ৪০টি কেন্দ্রে ইতিমধ্যে পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পুনর্নির্বাচন হবে ওইসব কেন্দ্রে। তবে এই ৪০টি আসন যদি কোনও একটি দলের পক্ষে যায়, তা হলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া মুশকিল। তবে পাকিস্তানের রাজনৈতিক শিবিরের বড় অংশ মনে করছে, ইসলামাবাদের কুর্সিতে কে বসবেন, তা ঠিক করবে পাক সেনাই, আরও স্পষ্ট করে বললে সেনাপ্রধান আসিম মুনির।