NE UpdatesHappeningsBreaking News
নিপন গোস্বামীর পর প্রয়াত নীলপবন বরুয়াও
ওয়েটুবরাক, ২৯ অক্টোবর : অসমিয়া সংস্কৃতি জগতে দুই ইন্দ্রপতন! বৃহস্পতিবার জীবনাবসান ঘটে জনপ্রিয় অভিনেতা নিপন গোস্বামীর। শুক্রবার গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রয়াত হলেন বিখ্যাত চিত্রশিল্পী নীলপবন বরুয়া। কয়েকদিন ধরে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। যোরহাটের টিয়কে জন্ম নীলপবন বরুয়ার। হাইস্কুলের পরে চাষবাসেই মন দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রথমনাথ বিশীর বই পড়ে শান্তিনিকেতনের প্রতি আগ্রহী হন । সেখানে কৃষি বিষয়ে পাঠ নিতে গিয়ে চিত্রকলায় মুগ্ধ হন। শুরু হয় চিত্রকর হওয়ার স্বপ্ন দেখা। পরে দিল্লির গার্হি স্টুডিওতে যোগ দেন নীলপবন। ১৯৬৬ সালে গুয়াহাটি আর্ট কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন। অসমে সিগারেট বাক্স ও দেশলাই বাক্সের উপরে ছবি আঁকা তিনিই প্রথম মিনিয়েচার চিত্রশিল্পী। তখনই অসমের জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী দীপালি বরঠাকুরের সঙ্গে নীলপবনের প্রেম ও বিয়ে। ১৯৭০ সালের পরে মোটর-নিউরন রোগে হঠাৎ করেই গান গাওয়া ও চলাফেরার ক্ষমতা হারিয়েছিলেন দীপালি। সেই অবস্থায় ১৯৭৬ সালে দীপালীদেবীকে বিয়ে করেন নীলপবন। ২০১৮ সালে দীপালীদেবীর মৃত্যু পর্যন্ত তাঁর যাবতীয় যত্নআত্তি নীলপবন নিজের হাতেই করতেন। স্ত্রীর মৃত্যুর পরে একাকীত্বে ভুগছিলেন তিনি। গত বছর অসম সরকার তাঁকে অসম সৌরভ পুরস্কারে সম্মানিত করেছিল। বেশ কিছু বইও লিখেছিলেন তিনি।
ওদিকে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কয়েকদিন চিকিৎসাধীন থাকার পরে বৃহস্পতিবার সকালে গুয়াহাটির এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নিপন গোস্বামী। বয়স হয়েছিল ৮০ বছর৷ অভিনয়ে হাতেখড়ি সেই স্কুলজীবনে। পুনে ফিল্ম ইন্সটিটিউটে অভিনয়ের তালিম নেন৷ সে সময় অসম থেকে ডাক পান ‘সংগ্রাম’ ছবিতে নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করার। ‘ডক্টর বেজবরুয়া’ ছবিতে অভিনয় করে রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন ৷
এরপর ‘আজলি নবৌ’, ‘তুমি আহিবা নে’, ‘ককা দেউতা নাতি আরু হাতি’, ‘হিয়া দিয়া নিয়া’ সহ একশোর বেশি অসমিয়া ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি । বাংলা ছবি ‘তুষার তীর্থ অমরনাথ’, ‘দেবাঞ্জলি’, ‘দুরন্ত চড়াই’ ইত্যাদি ছবিতেও তাঁকে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে। বলিউডে ‘দো অনজানে’, ‘কালসন্ধ্যা’, ‘দমন’ ছাড়াও বেশ কটি ছবিতে অভিনয় করেছেন।