India & World UpdatesBreaking News
নাশকতার জন্য ৮ মে থেকেই গুয়াহাটি চষে বেড়াচ্ছিল বিজয়
২২ মে : ১৫ মে সন্ধ্যায় গুয়াহাটির জু রোডে গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটনা সংঘটিত করার আগে ৮ মে-তে গুয়াহাটি এসেছিল আলফা ক্যাডার বিজয় অসম ওরফে পাপু কোচ। লতাশীল থানায় পুলিশের জেরায় এ কথা স্বীকার করেছে দুর্ধর্ষ এই ক্যাডার। বুধবার সংবাদ মাধ্যমের কাছে এ কথা জানিয়েছেন গুয়াহাটির পুলিশ কমিশনার দীপক কুমার।
তিনি জানান, রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে আলফার নাশকতামূলক ঘটনা সংঘটিত করার পরিকল্পনার কথাও সে স্বীকার করে। উল্লেখ্য, গত ২১ মে তিনসুকিয়ায় গ্রেফতার হওয়া বিজয়কে এ দিন সন্ধ্যায় গুয়াহাটি নিয়ে আসা হয়। এরপরই লতাশীল থানার পুলিশের কয়েকজন শীর্ষ আধিকারিক তাকে টানা জেরা চালিয়ে যান।
তিনি জানান, পুলিশের জেরার মুখে এই ক্যাডার গ্রেনেড বিস্ফোরণের পাশাপাশি আরও অনেক তথ্য তুলে ধরেছে। দীপক কুমার জানান, ‘আমরা যে তথ্য পেয়েছি তাতে জানা গেছে, চিন্ময় লহকর মোটর সাইকেল চালাচ্ছিল এবং তাতে বসেই বিজয় গ্রেনেড ছোড়ে। এরপর বিজয় জাহ্নবীর স্কুটিতে উঠে তার ঘরে যায়। ৮ মে গুয়াহাটি আসার পর বিজয় জাহ্নবী শইকীয়া ও প্রাণময় রাজগুরুর সঙ্গেই ছিল। তারা তাকে চিকিৎসার জন্যও নিয়ে যায়।’
পুলিশ আধিকারিক জানান, বিজয় অসমকে গ্রেফতার করার পর জু রোড বিস্ফোরণ কাণ্ডে জড়িত সব অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা সম্ভব হলো। এর আগে গ্রেফতার করা হয় প্রাণময় রাজগুরু, জাহ্নবী শইকিয়া, চিন্ময় লহকর, ইন্দ্রমোহন বরা ও অমিত বল্লভ গোস্বামীকে। তিনি আরও জানান, ২০১৩ সালে আলফায় যোগ দিয়ে বিজয় মায়ান্মারে প্রশিক্ষণ নেয। এর আগে ২০০৮ সালে বশিষ্ঠ থানায় একটি গাড়ি চুরির অভিযোগে সে জেলে যায়। পরবর্তী সময়ে ২০১১ সালে লখিমপুরের রুপালি রঙপি নামে এক মহিলাকে হত্যা করার অভিযোগের এক বছর জেল খাটার পর সে জামিনে মুক্তি পায়।