Barak UpdatesHappeningsCultureBreaking News
নানা কর্মসূচিতে ভাবীকালের বিশ্ব নাট্য দিবস উদযাপন
ওয়েটুবরাক, ২৮ মার্চঃ নাটক, নাট্যকথা ও তিন নাট্য পরিচালককে সম্মান জানানোর মধ্য দিয়ে গত ২৭ মার্চ বিশ্ব নাট্য দিবস উদযাপন করল ভাবীকাল। দাস কলোনি স্থিত মাতৃভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে বিশ্ব নাট্য দিবস উপলক্ষে প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখেন নাট্য সংস্থার নির্দেশক শান্তনু পাল। তিনি বলেন, নাটক এক কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে। এই শিল্প মাধ্যমকে জনতার দরবারে পৌঁছে দেওয়া এক চ্যালেঞ্জ। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে সেই চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করতে হবে শিল্পী, স্রষ্টা, নাট্যকার, পরিচালক ও অভিনেতাদের। নিজের সঙ্গে নিজের লড়াই তো রয়েছেই, আবার প্রযুক্তির সঙ্গে একদিকে লড়াই অন্যদিকে প্রযুক্তিকে ছেড়ে দিলেও হবে না, একে নিয়েই চলতে হবে। তবে এই কঠিন সময়েও তাঁর প্রত্যয়, নাটক বেঁচে থাকবে মানুষের মধ্যে। নাটকের জয় হবেই, মানবতার জয় হবে, মনুষ্যত্বের জয় হবেই। বিশ্ব নাট্য দিবসের বার্তা পাঠ করে শোনান ভাবীকালের সভাপতি রঞ্জন দাস।
এই অঞ্চলের তিন বিশিষ্ট নাট্য পরিচালক চিত্রভানু ভৌমিক, শেখর দেবরায় ও সায়ন বিশ্বাসকে এ দিন উত্তরীয় পরিয়ে এবং চল্লিশ পেরনো সংগঠন ভাবীকালের স্মারক তুলে দিয়ে সম্মান জানানো হয়।
সম্মাননার জবাবে চিত্রভানু ভৌমিক বলেন, যুবা প্রজন্মের শিল্পীরা নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে গেলে তার ফল পাওয়া যায়। নাটককে বাঁচাতে তাদের মত তরুণ-তরুণীদেরই বিশেষ প্রয়োজন বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। বিশিষ্ট অভিনেতা পরিচালক ও নাট্যকার শেখর দেবরায় বিশ্বনাট্য দিবসের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন। অতি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সায়ন বিশ্বাস নতুনদের থিয়েটারে উৎসাহিত করেন।
নতুন প্রজন্মের তরুণ-তরুণীরা এ দিন একটি অনুনাটিকা পরিবেশন করে। “রাজার ক্যারিশমা”-র প্রাণবন্ত উপস্থাপনা উপস্থিত সবাই দারুণ উপভোগ করেন। ভাবীকালের মুখ্য আহ্বায়ক পল্লব ভট্টাচার্য ধন্যবাদ সূচক বক্তব্য রাখেন।
ভাবীকালের পৃষ্ঠপোষক, শিলচরের প্রাক্তন পুরপ্রধান শান্তনু দাস, সাংবাদিক উত্তমকুমার সাহা প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।