Barak UpdatesHappeningsBreaking News
নয়াগাঁওয়ে ভিএইচপির ধোয়ারবন্দ প্রখণ্ডের রাম উৎসব উদযাপিত
ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের জীবন চরিত্র তথা আদর্শ সকল মানবজাতিকে অনুসরণ করে চলা উচিত : রাজকিশোর ঘাটোয়ার
ওয়ে টু বরাক, ৩১ মার্চ ঃ সময় থাকতে হিন্দুরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হয় তবে ভবিষ্যতে অনেক বিপদের সম্মুখীন হতে হবে তাদের। কাজেই এই মুহূর্তে হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া দ্বিতীয় কোনও বিকল্প নেই। বৃহস্পতিবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ধোয়ারবন্দ প্রখণ্ডের উদ্যোগে লোহারবন্দ খণ্ডের নয়াগাঁও রামমন্দিরে অনুষ্ঠিত রাম উৎসব কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে এ মন্তব্য করেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের দক্ষিণ কাছাড় জেলার জেলা প্রচারক রাজকিশোর ঘাটোয়ার।
এ দিন স্থানীয় সমাজসেবী নিতাই ভূমিজের পৌরোহিত্যে আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সংঘের প্রচারক রাজকিশোর ঘাটোয়ার বলেন, আমাদের সবাইকে উচ্চ নীচ ভেদাভেদ ভুলে আমরা সবাই কেবল হিন্দু এই মনোভাব নিয়ে কাজ করলে যে কোনও কাজেই সফলতা আসবে এবং আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত হবে। তিনি ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের জীবন চরিত্র তথা আদর্শ অনুসরণ করে এগিয়ে চলার জন্য সকল হিন্দু ধর্মাবলম্বী লোকদের প্রতি আহ্বান জানান। পিতা দশরথের আদেশে রাজ্যাভিষেক বাদ দিয়ে রামচন্দ্রের তৎক্ষণাৎ বনবাস চলে যাওয়া ও পরে সামান্য বানর সেনাকে নিয়ে ভগবান রামচন্দ্রের লঙ্কা বিজয়ের কাহিনীর কথা তুলে ধরেন তিনি।
এদিকে, সাংগঠনিক দিক নিয়ে আলোকপাত করেন বজরং দলের শিলচর বিভাগ সংযোজক অমলেন্দু দাশ। তিনি বলেন, হিন্দুদের সুরক্ষা নিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সদা তৎপর। আমরা সনাতন ধর্মে বিশ্বাস করি এবং সব ধর্মকে সম্মান করি। কোনও ধর্মকে আমরা কোনও সময় আঘাত করতে চাই না। কিন্তু যদি কেউ অন্যায়ের আশ্রয় নিয়ে আমাদের ধর্মের উপর আঘাত আনার চেষ্টা করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ রুখে দাঁড়িয়েছে এবং দাঁড়াবে। অমলেন্দু বাবু বলেন, হিন্দুরা ঐক্যবদ্ধ না থাকায় জেহাদিরা সেই সুযোগ নিয়ে দুর্বল করার চেষ্টা করে, হিন্দুদের উপর আঘাত আনার চেষ্টা করে। কাজেই এখন আর পেছনে তাকানোর সময় নয়, হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে জাতি তথা সমাজ রক্ষার্থে। তিনি বলেন, বিগত ২২ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত দেশব্যাপী রাম উৎসব পালিত হয়েছে। দক্ষিণ কাছাড় জেলার নরসিংপুর, ধলাই, ধোয়ারবন্দ, পালংঘাট ও সোনাই মোট পাঁচটি প্রখণ্ডের অধীনে বিভিন্ন গাঁও পঞ্চায়েত এলাকার ২৭টি স্থানে রাম উৎসব উদযাপিত হয়েছে, যার মধ্যে ধোয়ারবন্দ প্রখণ্ডের এই কার্য্যক্রমে বিশাল সংখ্যক জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
শুরুতে কলস যাত্রা, গোমাতা পূজন ও যজ্ঞ করে এবং পরে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও ভারত মাতার বন্দনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এ দিনের অনুষ্ঠানকে সাফল্যমণ্ডিত করে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ধোয়ারবন্দ প্রখণ্ডের সভাপতি কার্তিক মজুমদারের ভূয়শী প্রশংসা করেন উপস্থিত অতিথিরা। উল্লেখ্য এ দিনের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দক্ষিণ কাছাড় জেলার সহ-সম্পাদক দেবাশিস নন্দী মজুমদার (দেবল), দুর্গা বাহিনীর সংযোজিকা প্রিয়া দেব, দুর্গা বাহিনীর লোহারবন্দ প্রখণ্ডের সংযোজিকা অঙ্কিতা চক্রবর্তী, বজরং দলের ধোয়ারবন্দ প্রখণ্ডের সংযোজক করণ দাস, ধোয়ারবন্দ প্রখণ্ডের বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সম্পাদক পঞ্চম কালোয়ার প্রমুখ।