India & World UpdatesHappeningsBreaking News
নতুন জঙ্গি দলের হদিশ ! বর্ধমান থেকে আটক ৩ সদস্য
কলকাতা, ২৪ জুন : নাম শাহাদাত। জঙ্গি সংগঠন। বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার-উল- ইসলামের অন্যতম ‘ফিদায়ে’ ইসমাইল শাহাদত। খুব সম্ভবত, তার নামেই এই জঙ্গি সংগঠনের নাম রাখা হয়েছে। যার অর্থ, নিজে থেকে শহিদ হওয়া। অর্থাৎ আত্মঘাতী জঙ্গি বা ‘ফিদায়ে’। জিহাদের জন্য নিজের জীবন বিসর্জন দিতেও পিছপা হব না, এই সংকল্পের বীজই বুনে দেওয়া হত সদস্যদের মধ্যে।
এ দিকে বর্ধমান থেকে তিন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, বাংলাদেশে ‘অপারেটিং’ এই জঙ্গি মডিউলের বাংলার অন্যতম চাঁই মহম্মদ হবিবুল্লা। মগজ ধোলাই করে নতুন প্রজন্মকে এই চক্রে জড়িয়ে ফেলাই ছিল তার মূল কাজ। শনিবার কাঁকসা থানা থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে মীরেপাড়া এলাকায় হানা দেয় রাজ্য এসটিএফ। সেখানে মহম্মদ হবিবুল্লা নামে এক কলেজ ছাত্রকে আটক করা হয়। কাঁকসা থানায় দীর্ঘক্ষণ জেরার পর তাকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই সামনে আসছে নতুন-নতুন তথ্য।
সূত্রের দাবি, বিদেশে আত্মগোপন করে সালাউদ্দিন নাসের মডিউলটি অপারেট করে। মূলত সোশাল মিডিয়ায় জাল বিছিয়ে যুবক-যুবতীদের দলে টানত তারা। প্রথমে চলত স্ক্যানিং। দেখা হত, কারা ইসলামিক মৌলবাদের প্রতি আগ্রহী। তারপর অডিও মেসেজ পাঠিয়ে চলত মগজ ধোলাই। ব্যবহার হত বিশেষ মোবাইল অ্যাপ ‘বিপ’। সোশাল মিডিয়ায় বিশেষ এক গ্রুপে চলত কথাবার্তা। সেই গ্রুপেই এখন কড়া নজর তদন্তকারীদের।
সূত্রের দাবি, একইভাবেই ‘রিক্রুট’ করা হয়েছিল হবিবুল্লাকে। কম্পিউটার সায়েন্সের এই পড়ুয়া বেশিরভাগ সময়ই মোবাইল, ল্যাপটপে মুখ গুজে থাকত। এলাকায় কারও সঙ্গে বিশেষ মিশত না বলেই দাবি পড়শিদের। তবে আপাত শান্তশিষ্ট, মেধাবী হবিবুল্লা যে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকবে, তা মানতে পারছে না এলাকার বাসিন্দারা। তাদের কথায়, এত ছোট একটা ছেলে এই কাজ করবে, বিশ্বাসই হচ্ছে না। সম্প্রতি ঢাকার শাহিনবাগ, গুলিস্তান এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে নয়া ‘শাহাদত’ মডিউলের ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সূত্রের দাবি, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই বাংলার তিন চক্রীর হদিশ মিলেছে। মূলত ঢাকা, সাতক্ষীরা, যশোর এলাকা অপারেট করে তারা। বর্ধমানের ধৃতদের রবিবার আদালতে পেশ করা হয়েছে। ইউএপিএ-সহ একাধিক ধারায় দায়ের হয়েছে মামলা। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে ষড়যন্ত্রের গভীর পৌঁছতে চাইছেন তদন্তকারীরা।