Barak UpdatesHappeningsBreaking News

নতুন ইংরেজি সালকে বরণ করতে শিলচর ডিএসএ মাঠে দু’দিনের গানমেলা শুরু

ওয়ে টু বরাক, ৩১ ডিসেম্বর ঃ ইংরেজি বছরের শেষ দিনটিতে শনিবার সকালে দু’দিনব্যাপী গানমেলা শুরু হয়েছে। শিলচর ডিএসএ মাঠে এ দিন সকালে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে ১২তম গানমেলার সূচনা করেন প্রবীণ সেতারবাদক রতন বিশ্বাস। মঞ্চে সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের কাছাড় জেলা সভাপতি সঞ্জীব দেবলস্কর এবং সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মঞ্চের সভাপতি শেখর দেবরায়। এছাড়াও মঞ্চে ছিলেন গানমেলা কমিটির সভাপতি শিবব্রত দত্ত, কার্যকরী সভাপতি অরিন্দম ভ‌ট্টাচার্য, যুগ্ম আহ্বায়ক অরুন্ধতি দত্তরায় ও গোরা চক্রবর্তী, বাবুল হোড়, ভাস্কর দাস প্রমুখ।

উল্লেখ্য, নতুন ২০২৩ সালকে স্বাগত জানাতে এ বারও শিলচরে পুরনো বছরের শেষদিন ও নতুন বছরের প্রথম দিন মিলে আয়োজন করা হয়েছে গানমেলা। এ বার এই গানমেলা ১২ বছরে পা দিয়েছে। ডিএসএ প্রাঙ্গণে আয়োজিত গানমেলায় এ বারও ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে দুটি মঞ্চ রাখা হয়েছে। একটি মঞ্চ উৎসর্গ করা হয়েছে বিশিষ্ট রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে এবং অন্যটি বরাকের লোকসঙ্গীত শিল্পী রেবা লস্করের নামে উৎসর্গ করা হয়েছে।

এ দিন সকালে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের সঙ্গে সঙ্গে উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন সমকাল ও স্বরলিপির শিল্পীরা। এর পাশাপাশি উদ্বোধনী পর্বে তিন আমন্ত্রিত অতিথিকে গানমেলা কমিটির পক্ষ থেকে সম্মান জানানো হয়। এছাড়া মূল আয়োজক সমকাল ও স্বরলিপির সদস্য না হওয়া সত্ত্বেও গানমেলা কমিটিকে নানাভাবে সহায়তার জন্য কমিটির পক্ষ থেকে বিশিষ্ট তবলাবাদক ভাস্কর দাসকে সম্মান জানানো হয়। পাশাপাশি মঞ্চে আসীন অন্যদেরও কমিটির পক্ষ থেকে সম্মান জানানো হয়েছে। দ্বিতীয় পর্বে প্রথম অনুষ্ঠান পরিবেশন করে গানমেলার সূচনা করেন শিলচর সঙ্গীত বিদ্যালয়ের শিল্পীরা।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শনিবার টানা অনুষ্ঠান চলবে রাত ১২টা পর্যন্ত। ঠিক ১২টায় গানে গানে কেক কেটে ২০২৩ সালকে স্বাগত জানানো হবে। রবিবার পুনরায় সকাল ১০টায় গানের অনুষ্ঠান শুরু হবে। তাঁরা আশা করেন, এ বছর ৩০০-র বেশি শিল্পী যোগদানের সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে ১৫০-র বেশি একক শিল্পী ৷ দল ২০টি ৷ শিলচর ছাড়াও  করিমগঞ্জ থেকেও এ বার কয়েকজন শিল্পী আসছেন। তবে কমিটি এ বছর নতুন প্রজন্মের শিল্পীদেরই বেশি প্রাধান্য দেবে। থাকবে শিশুদের নিয়ে বিশেষ একটি অনুষ্ঠান। ব্যতিক্রমী কর্মসূচি হিসাবে এই বছরে সন্ধ্যায় কীর্তন হবে। তবে শোভাযাত্রাকে এ বার বাদ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, নতুন ইংরেজি সালকে বরণ করতে গিয়ে প্রতি বছরই শহরজুড়ে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির মোড়কে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন চলে। এভাবে আমাদের নতুন প্রজন্ম ভারতীয় সংস্কৃতি থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে। সেই ভাবনা থেকেই সমকাল ও স্বরলিপি এই অনুষ্ঠানের সূচনা করে।  এই অঞ্চলের শিল্পী ও উৎসাহীদের আগ্রহে তা এগিয়ে চলছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker