Barak UpdatesHappeningsBreaking News
অভিনব ! কৃতি পড়ুয়াদের পুরস্কৃত করল দ্বিজেন্দ্র-ডলি মেমোরিয়েল লাইব্রেরি
ওয়েটুবরাক, ২৬ জুলাই : শিক্ষানবিশদের কাছে জ্ঞান অর্জনের এক বড় আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে দ্বিজেন্দ্র ডলি মেমোরিয়াল লাইব্রেরি। এই লাইব্রেরির রেফারেন্স বইয়ের সাহায্যে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর স্তরে যে সব ছাত্র-ছাত্রী নজর কাড়া ফলাফল করেছে, তাদের সংবর্ধনা জানালেন লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ। পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি লাইব্রেরির বই পড়াশোনা করে ভালো ফল করার জন্য এইসব কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে স্বীকৃতি স্মারক এবং উপহার তুলে দেওয়া হয় । ব্যতিক্রমী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন হয় গত শনিবার। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক বিশ্বতোষ চৌধুরী, দুই বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সুমিত্রা দত্ত ও গৌরী দত্ত বিশ্বাস।
শুরুতে উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন সৌমিত্র আচার্য। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিশ্বতোষ চৌধুরীর বলেন, দ্বিজেন্দ্র-ডলি লাইব্রেরির সমস্ত অনুষ্ঠান কোরাসের মতো শব্দ করে বারবার জাগিয়ে তোলে। তিনি আত্মবিশ্লেষণ ও আত্মজিজ্ঞাসায় গুরুত্ব দিয়ে নিজেকে আয়নার সামনে দাঁড় করিয়ে বহুকৌণিক দিক থেকে দেখতে ছাত্রছাত্রীদের পরামর্শ দেন৷ সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য লাইব্রেরিতে যাওয়া উচিত বলে জোরালো মন্তব্য করেন। তাঁর কথায়, স্নাতক স্তরে ভালো ফল করলেও, এমনকী, প্রথম বিভাগে প্রথম বা দ্বিতীয় স্থান পেলেও সেই ধারা বহাল রাখতে হবে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে। আর যারা গবেষণা করছেন বিভিন্ন বিষয়ে তাদের থেকে মৌলিক গবেষণার আশা করেন অধ্যাপক বিশ্বতোষ। প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ সুমিত্রা দত্তও।
অধ্যাপক শ্যামানন্দ চৌধুরীর পরিচালনায় এই অনুষ্ঠানে রূপরাজ ভট্টাচার্যকে ‘ছাত্র বৎসল কৃতি শিক্ষক’ পুরস্কার দেওয়া হয়। কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে শর্মিলা দত্ত, প্রজ্ঞা অন্বেষা, মধুমিতা ঘোষ, বহ্নিশিখা চক্রবর্তী, পিয়ালী দেব, মধুশ্রী চক্রবর্তী,সোনালী চক্রবর্তী, কল্পিতা দেব, পিয়ালী পাল, অভীক রঞ্জন দাস, অনুরূপা দাস এবং ভাস্কর জ্যোতি অর্ককে পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কারপ্রাপকের অনুভূতি ব্যক্ত করেন প্রজ্ঞা অন্বেষা এবং অভীক দাস। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কবি শতদল আচার্য, কাছাড় কলেজের অধ্যাপক সুদীপ কুমার দাস প্রমুখ। নৃত্য পরিবেশন করেন শুভব্রতা দাস এবং আবৃত্তি শোনায় শিশুশিল্পী স্নেহা চৌধুরী।