Barak UpdatesHappeningsBreaking News
সম্ভাব্য বন্যা : হাইলাকান্দিতে প্রশাসনিক প্রস্তুতি
ওয়েটুবরাক, ১৬ জুন: চলতি বর্ষা মরশুমে হাইলাকান্দি জেলার নদীগুলিতে জলস্ফীতির ফলে বন্যা দেখা দিলে দুর্গতদের আশ্রয় দিতে জেলায় ৭৯টি ত্রাণশিবির শনাক্ত করা হয়েছে। এই ত্রাণশিবিরগুলিতে সরকারি নিয়ম-নীতি মেনে ত্রাণসামগ্রীর ব্যবস্থা করা হবে। বুধবার হাইলাকান্দিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।
আসন্ন বর্ষা মরশুমে বন্যার প্রকোপ দেখা দিলে উদ্ধার ও ত্রাণকাজের জন্য প্রশাসনিক আগাম প্রস্তুতি সম্পর্কে সরকারি সব বিভাগকে নিয়ে এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল৷ অতিরিক্ত জেলাশাসক দীপমালা গোয়ালা তাতে পৌরোহিত্য করেন৷ সভায় জানানো হয়, হাইলাকান্দি রাজস্ব সার্কেলে ২১টি, আলগাপুর সার্কেলে ৯টি, লালা সার্কেলে ৩৪টি এবং কাটলিছড়া সার্কেলে ১৫টি রিলিফ ক্যাম্প চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে । দুর্গতদের সাহায্যের জন্য অত্যাবশ্যক পণ্যসামগ্রীর মূল্য নির্ধারণ সহ চিকিৎসা সামগ্রী এবং পশুখাদ্যও মজুদ রাখার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে ।
উদ্ধার ও ত্রাণ কাজের জন্য দেশি নৌকাসহ ইঞ্জিনচালিত নৌকা এবং এসডিআরএফ বাহিনীর সদস্যদের মজুদ রাখা হয়েছে। এতে অংশ নিয়ে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবেলা কর্তৃপক্ষের নোডাল অফিসার রাজেশ দত্ত সব বিভাগকে বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির তথ্য প্রতিদিন দ্রুত রাজস্ব সার্কেল অফিসারের মাধ্যমে জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃ পক্ষের কাছে জমা দিতে বলেন। তিনি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া দুর্গতদের কাছে মানবিক এবং মর্যাদাবোধ সহকারে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেবার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। সভায় জানানো হয়, জেলার নয়টি নদীবাধ ভাঙ্গন স্থল ইতিমধ্যেই মেরামতি করা হয়েছে ।
জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের ডিপিও আহমেদ সভায় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপনা করে জানান, জেলায় বন্যা, বজ্রপাত ইত্যাদির মতো বিপর্যয়ের আগাম পূর্বাভাস সংক্রান্ত একটি আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম চালু করা হয়েছে । সভায় জেলার বিভিন্ন শীর্ষ আধিকারিকরা অংশ নেন। এরপর রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের নোডাল অফিসার রাজেশ দত্তকে নিয়ে জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের এক প্রতিনিধি দল জেলার কয়েকটি প্রস্তাবিত ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করেন।