NE UpdatesHappeningsBreaking News
ধর্ষণ-যৌন নির্যাতনের মামলায় দ্রুত বিচারের জন্য আইনজীবীদের সহযোগিতা চাইলেন হিমন্ত
ওয়েটুবরাক, ২৪ আগস্টঃ ধর্ষণ, যৌন নির্যাতনের মতো মামলায় দ্রুত বিচারের জন্য আদালতকে সহযোগিতা করার জন্য আইনজীবীদের উদ্দেশে আহ্বান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। গৌহাটি হাই কোর্টের বিচারপতি কল্যাণ রাই সুরানাকে মঞ্চে বসিয়েই তিনি বলেন, দেরিতে বিচার হয় বলেই মানুষের মধ্যে তাতক্ষণিক বিচারের দাবি জোরদার হচ্ছে। ফলে অন্তত এই ধরনের মামলায় বিচার যাতে তাড়াতাড়ি হয়, সে দিকটা আইনজীবীদের দেখা দরকর। তাঁর কথায়, পুলিশ যাকে অভিযুক্ত করেছে, তিনি দোষী নাও হতে পারেন। সে ক্ষেত্রেও আইনজীবীদের দ্রুত বিচারে সহযোগিতা করতে হবে। তিনি একটি টাইমটেবিলও বেঁধে দেওয়ারও প্রয়াস নেন। বলেন, নিম্ন আদালতে এক বছর, হাই কোর্টে দুইমাস এবং সুপ্রিম কোর্টে একমাসে বিচার সমাপ্ত হলে মানুষের আস্থা বাড়বে।
শনিবার শিলচর জেলা বার সংস্থার দেড়শো বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী শর্মা। বিচারপতি সুরানা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা ও দায়রা বিচারক বিপ্রজিত রায়, মন্ত্রী জয়ন্ত মল্ল বরুয়া, সাংসদ পরিমল শুক্লবৈদ্য, বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী, মিহিরকান্তি সোম ও কৌশিক রাই, রাজ্য বার সংস্থার প্রবীণ কর্মকর্তা হাফিজ রশিদ আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ । পৌরহিত্য করেন জেলা বার সংস্থার সভাপতি দুলাল মিত্র। চার প্রবীণ আইনজীবী অশোক পালচৌধুরী, নীহারেন্দ্র নারায়ণ ঠাকুর, বিমানকুমার আচার্য ও বীথিকা আচার্যকে অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা জানানো হয়।
স্বাগত ভাষণ দেন জেলা বার সংস্থার সম্পাদক নীলাদ্রী রায় । সভাপতি দুলাল মিত্র তিন সদস্য নিয়ে যাত্রা থেকে আজকের 884 জন হওয়ার গর্বের কথা উল্লেখ করেন। বারের স্বনামধন্য সদস্যদের মধ্যে উল্লেখ করেন কামিনীকুমার চন্দ, ময়নুল হক চৌধুরী, আলতাফ হোসেন মজুমদার, নীহাররঞ্জন লস্করের কথা। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে কর্মবীর বলে আখ্যায়িত করেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী শর্মা তাঁর ভাষণে বলেন, ভারতীয় বিচারব্যবস্থার সঙ্গে ধর্মের সম্পর্ক রয়েছে। ধর্মীয় আচার-আচরণগুলিই এখানে আইন হিসেবে গৃহীত হয়েছে। শাস্ত্রের বিধান রাজাকেও মেনে চলতে হতো। এক সময়ে আইন বদলের ক্ষমতা রাজাদেরও ছিল না। মৌর্য আমলে এর পরিবর্তন ঘটে।
ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি আইন জারির সমালোচনা করে হিমন্ত বলেন, আইনজীবীরা তখন মাথানত করেননি।