NE UpdatesHappeningsBreaking News
ধর্ষণের ঘটনায় কোনও বিশেষ সম্প্রদায়কে টার্গেট করা অনুচিত : এসইউসিআই
ওয়েটুবরাক, ২৮ আগস্ট: ‘নগাঁও জেলার ধিংয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্ৰীর গণধৰ্ষণের বিরুদ্ধে ধিং সহ সমগ্ৰ রাজ্যে ছাত্ৰ, যুবক ও মহিলারা রাজপথে বেরিয়ে এসে তীব্ৰ প্ৰতিবাদ সাব্যস্ত করেছেন। অথচ আসাম সরকার ধিং সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে সংঘঠিত একের পর এক নারকীয় ধৰ্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্ৰহণ না করে জনসাধারণের ক্ষোভ-বিক্ষোভকে ভিন্ন ভাবে পরিচালিত করে সাম্প্ৰদায়িক সম্প্ৰীতি নষ্ট করতে প্ররোচনামূলক মন্তব্য করছে৷” এস ইউ সি আই দলের আসাম রাজ্য কমিটির সম্পাদক চন্দ্ৰলেখা দাস বুধবার এ কথা বলেন৷
তিনি জানান, আসামের সাম্প্ৰদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন রাজ্যের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন নাগরিকগণ। নারী ধৰ্ষণকারী অপরাধীদের কোনও জাত-ধৰ্ম নেই, তারা দুস্কৃতী। তাই কোনও বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষকে আক্রমণের টাৰ্গেট করা শুধু অন্যায়ই নয়, জনসাধারণের জীবনে চরম অশান্তি নামিয়ে আনার এক ষড়যন্ত্র। এতে দরিদ্র, নিষ্পেষিত সাধারণ মানুষের জীবনের জ্বলন্ত সমস্যা নিয়ে গড়ে ওঠা ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলনকে দূর্বল করে তোলে।
তাঁর কথায়, সরকারের প্ৰত্যক্ষ মদতে পৰ্ণোগ্ৰাফির ব্যাপক প্ৰচার চলেছে৷ সরকার মদ বিক্রি করে রাজস্ব সংগ্রহে নেমেছেন। এই উদ্দেশ্যে রাজ্যের কোণায় কোণায়, অলিতে-গলিতে, গ্রামে-গঞ্জে ব্যাপক হারে মদের দোকান খোলা হচ্ছে৷ এতে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে একাংশ ছাত্ৰ-যুবকের মধ্যে চূড়ান্ত নৈতিক স্খলন ঘটেছে, মহিলাদের উপর এ ধরনের আক্ৰমণও প্ৰতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারের এই ঘৃণ্য ভূমিকার সাথে মুষ্টিমেয় ধনীক পুঁজিপতি শ্রেণীর স্বার্থ নিহিত হয়ে আছে। তাই সরকার জনজীবনের জ্বলন্ত সমস্যার অবসান না ঘটিয়ে জনগণের দৃষ্টি অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিতে উঠে পড়ে লেগেছে।
এই পরিস্থিতিতে চন্দ্রলেখা দাস জাতি- ধৰ্ম- ভাষা- বৰ্ণ নিৰ্বিশেষে রাজ্যের সকল স্তরের জনসাধারণকে সরকারের এই বিভাজনবাদী রাজনৈতিক চক্ৰান্ত সম্পৰ্কে সজাগ থেকে তা প্রতিহত করতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জনগণের ঐক্য, সংহতি, ভ্রাতৃত্ববোধ চোখের মণির মতো রক্ষা করতে হবে।