Barak UpdatesHappeningsBreaking News
দুই বছরের বেশি হলেই ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে মুক্তির আর্জি, কেন্দ্র-রাজ্যকে শীর্ষ আদালতের নোটিশ
৭ এপ্রিলঃ করোনা অতিমারি হয়ে আসামেও মারাত্মক ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে। সন্ত্রস্ত জেলের কয়েদি, ডিটেনশন ক্যাম্পের বন্দিরা। বিচারাধীন ও জেলের দণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্তদের মধ্য থেকে বেশ কয়েকজন ছাড়া পেয়েছেন। এ বার ডিটেনশন ক্যাম্পের বন্দিরাও ছাড় চাইছেন। সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়ে জাগীরোডের রাজুবালা দাস বলেন, ভেতরে সামাজিক দূরত্ব মানা কোনওমতেই সম্ভব হচ্ছে না। তাই দুই বছর ডিটেনশন ক্যাম্পে কাটিয়েছেন যারা, তাদের মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হোক। শীর্ষ আদালত তাঁর অন-লাইন আবেদনটি মঙ্গলবার শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে। প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে ও বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে তাঁর আইনজীবীর বক্তব্য শোনেন। পরে কেন্দ্র ও আসাম সরকারের কাছে নোটিশ পাঠিয়ে তাদের মতামত জানতে চেয়েছেন। আগামী ১৩ এপ্রিল এই আর্জির ওপর শুনানি হবে। সে দিনই উভয় সরকারকে তাদের মতামত জানাতে বলা হয়েছে।
রাজুবালা নিজে দুই বছরের মেয়াদ পূর্ণ করেছেন। তাঁর আশঙ্কা, এখন ডিটেনশন ক্যাম্পেই যদি করোনায় আক্রান্ত হতে হয়। তাই ক্যাম্পে বন্দি সংখ্যাটা কমানো খুব জরুরি বলে দাবি করেন তিনি৷ বিশেষ করে, এই সময়ে যেহেতু বন্দি প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়াটা বন্ধ রয়েছে।
গত মাসে জাস্টিস অ্যান্ড লিবার্টি ইনিশিয়েটিভ নামে আসামের এক সংস্থা করোনার প্রেক্ষিতে ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দিদের মুক্তি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়েছিল। সংগঠনের পক্ষে মানবাধিকার কর্মী আব্দুল ওয়াদুদ বারো পাতার এক পিটিশন মেল করেছিলেন প্রধান বিচারপতির কাছে।
এর আগে গত বছরের মে-তে সুপ্রিম কোর্ট তিন বছরের বেশি সময় যারা ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি রয়েছেন, তাদের শর্তাধীন মুক্তির রায় দিয়েছে। কিন্তু জামিনের শর্ত পূরণ করতে না পেরে অনেকে ক্যাম্পেই পড়ে রয়েছেন৷