India & World UpdatesHappeningsBreaking News
দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা সিসোদিয়ার, সরলেন সত্যেন্দ্র জৈনও
ওয়েটুবরাক, 28 ফেব্রুয়ারিঃ দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মণীশ সিসোদিয়া। ইস্তফা দিলেন সত্যেন্দ্র জৈনও। তাঁদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
মঙ্গলবারও সিসোদিয়া জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ মিথ্যে । বিচারে শীঘ্রই এর প্রমাণ হবে। তবে ততদিন তিনি সরে দাঁড়ানোরই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পদত্যাগপত্রে তিনি লেখেন, ‘এই অভিযোগ কিছু ভীরু এবং দুর্বল মানুষের ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই নয়। আমি ওদের নিশানায় নই, ওদের নিশানায় আসলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দুর্নীতিগ্রস্ত হতে জোর করা যায় না। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা আমার শক্তি। সত্যের জন্য দাঁড়ালে, জয় আসবেই’।
অন্যদিকে, ১০ মাস ধরে জেলে রয়েছেন সত্যেন্দ্র। তাঁর স্বাস্থ্য দফতর সহ দিল্লির ১৮টি বিভাগের দায়িত্ব এতদিন একা সামলাচ্ছিলেন সিসোদিয়া। মঙ্গলবার তাঁরা দু’জনেই নিজ নিজ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। তাঁদের জায়গায় নতুন মুখ আনার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল।
দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় রবিবার সিবিআইর হাতে গ্রেফতার হন সিসোদিয়া। সেই গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এই মামলায় হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থেকেছেন। বিকল্প রাস্তা ধরতে সিসোদিয়াকে পরামর্শ দেন তিনি। তার পরই পদত্যাগ করলেন উপমুখ্যমন্ত্রী।
সোমবার সিসোদিয়াকে পাঁচ দিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়েছে দিল্লির বিশেষ আদালত। নিরপেক্ষ তদন্তের খাতিরেই সিসোদিয়ার কাছ থেকে যাবতীয় প্রশ্নের সদুত্তর পাওয়া জরুরি বলে আদালতে জানিয়েছিল সিবিআই। তাতে সম্মতি দেয় আদালত। এর পরই দিল্লির সরকারে তাঁদের থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। বিজেপি-র তরফে এ নিয়ে আক্রমণ করা হয় দিল্লির আম আদমি পার্টির সরকারকে। গ্রেফতারির পরও তাঁদের কেন মন্ত্রী হিসেবে রেখে দেওয়া হয়েছে, তোলা হয় প্রশ্ন। সিসোদিয়া এবং সত্যেন্দ্রর পদত্যাগের পর এই মুুহূর্তে দিল্লি সরকারে কেজরিওয়াল সহ মাত্র পাঁচ মন্ত্রী থাকলেন।