Barak UpdatesHappeningsBreaking News
পাঞ্জাব সরকারের বিরুদ্ধে ধিক্কার মিছিল কাছাড় জেলা যুব মোর্চার
ওয়েটুবরাক, ৬ জানুয়ারিঃ বুধবার পঞ্জাবের একটি কর্মসূচিতে অংশ নিতে যাওয়ার সময় একটি সেতুতে প্রায় ২০ মিনিট আটকে থাকেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ নিয়ে সমগ্র দেশজুড়ে ধিক্কার জানিয়ে নানা কর্মসূচি নিচ্ছে বিজেপি ও তার শাখা সংগঠনগুলি। বৃহস্পতিবার ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার উদ্যোগে কাছাড় জেলাতেও ধিক্কার মশাল মিছিল বার করা হয়। সন্ধ্যা ৬টায় ইটখলা স্থিত কাছাড় জেলা বিজেপির কার্যালয় থেকে মিছিল আরম্ভ হয়ে দেবদূত পয়েন্ট, পার্ক রোড পরিক্রমা করে কংগ্রেস অফিসের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান যুব মোর্চার সদস্যরা। হাতে হাতে প্ল্যাকার্ড, মশাল নিয়ে মিছিলে অংশগ্রহণ করেন তাঁরা। “কংগ্রেস সরকার হায় হায়, কংগ্রেস পাকিস্তান ভাই ভাই, মোদিকে দেখলে ভয় পায়” স্লোগান ওঠে মিছিল থেকে৷
পরে জেলা যুব মোর্চার সভাপতি অমিতেশ চক্রবর্তী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পাঞ্জাব সরকার পুরোপুরি পরিকল্পিত ভাবে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল। প্রধানমন্ত্রী যখন কোনও রাজ্য সফরে যান তখন তাঁর সুরক্ষার দায়িত্ব থাকে রাজ্যের বিশেষ পুলিশের উপর৷ কারণ তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী, কোনও দলের নন। তাঁর কথায়, প্রধানমন্ত্রীর যাত্রাপথে একেবারে পরিকল্পিত ভাবে একদল বিক্ষোভকারী বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিল৷ প্রধানমন্ত্রী কনভয়ে ঢোকারও চেষ্টা করেছে৷ কিন্তু পাঞ্জাব পুলিশ নীরব দর্শক ছিল। ফলে হোসেনওয়ালার জাতীয় স্মারক থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে থেকে কনভয় ঘুরিয়ে আনতে বাধ্য হয় এসপিজি।
অমিতেশবাবু আরও বলেন, ভারতের ১৩০ কোটি জনগণের আশীর্বাদ রয়েছে ভারতের মোদির উপর৷ তাঁকে কোনও অশুভ শক্তি অনিষ্ট করতে পারবে না।
এদিকে, কংগ্রেসের এই “নিন্দনীয় কাণ্ডে”র তীব্র ধিক্কার জানান জেলা বিজেপির সভাপতি বিমলেন্দু রায়, রাজ্য বিজেপির সম্পাদক কণাদ পুরকায়স্থ। উভয়েই ঘটনার উপযুক্ত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
এদিনের মশাল মিছিলে অন্যান্য দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাছাড় জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি রাজেশ কুমার দাস, সম্পাদক সৌমিত্র কুমার দেব, জেলা যুব মোর্চার সহ-সভাপতি রঞ্জিত রায়, সুকান্ত শুক্লবৈদ্য, নীলাঞ্জন ভট্টচার্য, বিমল দাস, সাধারণ সম্পাদক সোহম ঠাকুর, সুচন্দ চক্রবর্তী, সম্পাদক মহিতোষ তাঁতি, শুভম রায়, বৈশালি দত্ত রায়, কোষাধ্যক্ষ অর্কদ্বীপ ভট্টচার্য, শান্তনু রায় প্রমুখ।