Barak UpdatesHappeningsBreaking News
শিলচরে ৩৪ হাজার পরিবারে ত্রাণ বিলিয়েছেন বিধায়ক ও তাঁর দলMLA Silchar & his team has distributed relief among 34,000 families
২০ মেঃ লকডাউনের সময় শিলচর বিধানসভায় মোট ৩৪ হাজার ১৭২ পরিবারে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এই হিসেব সরকারি ত্রাণবিলির বাইরে। জানিয়েছেন বিধায়ক দিলীপকুমার পাল। তিনি বলেন, এর মধ্যে ১৬ হাজার ৪৮২ পরিবারের জন্য ত্রাণসামগ্রী তিনি নিজে সংগ্রহ করেছেন। ১৭ হাজার ৬৯০ পরিবারে ত্রাণ বিলিয়েছেন বিজেপির চার মণ্ডল সভাপতি—–মালুগ্রাম-তারাপুর মণ্ডলে বিজেন্দ্রপ্রসাদ সিংহ, মধ্য শিলচর মণ্ডলে ধ্রুবজ্যোতি ভট্টাচার্য, নিউ শিলচরে দুলাল দাস ও শিলচর ব্লক মণ্ডলে খাম্বাতন সিংহ। সবচেয়ে বেশি ৬ হাজার ৭৫ পরিবারে ত্রাণ দেন দুলালবাবু। বিজেন্দ্রবাবু ৫ হাজার ৩৯৪ পরিবারে, ধ্রুববাবু ৪ হাজার ৪৪৫ পরিবারে এবং খাম্বাতনবাবু দেন ১ হাজার ৭৭৬ পরিবারে। তাঁরা চারজনই বুধবার বিধায়কের সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। চারজনই জানান, বুথ স্তরের কমিটি থাকায় কাজটা সহজতর হয়েছে। তাঁরাই তালিকা তৈরি করেছেন, বিভিন্ন জিনিস একসঙ্গে নিয়ে প্যাকেট করেছেন।
অন্যদিকে দিলীপবাবু নিজে যে ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ ও বিতরণ করেছেন, তাঁর কথায়, ভিক্ষা করে মাধুকরী বিলিয়েছেন। ১৫ হাজার ২১৭ পরিবারে তিনি চাল, ডাল, আটা, আলু, পেঁয়াজ, সর্ষের তেল, লবণ, সয়াবিন, চিড়া, চানা ও সাবান দিয়েছেন। ১ হাজার ২৬৫ পরিবারে দিয়েছেন নগদ টাকা। ৬ লক্ষ ৩০ হাজার ৭০ টাকা তিনি নগদ বিলিয়েছেন। নগদ অর্থ ও ত্রাণসামগ্রী সব মিলিয়ে ৪৩ লক্ষ ৩ হাজার ৯১৮ টাকা খরচ হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪ জন ২৫ লক্ষ ৮৫ হাজার ৩০০ টাকা নগদ এবং চেকে ডোনেশন দিয়েছেন। দশজনের কাছ থেকে ত্রাণসামগ্রী ডোনেশন মিলেছে ১২ লক্ষ ৬৩ হাজার ৮০০ টাকার। ঘাটতি রয়েছে ৪ লক্ষ ৫৪ হাজার ৮১৮ টাকা। ওই টাকা তাঁর ব্যক্তিগত ডোনেশন হিসেবেই ধরে নিয়েছেন তিনি।
তৃপ্তির হাসি ছড়িয়ে দিলীপবাবু বলেন, দলীয় নির্দেশ ছিল, অন্তত ৪ হাজার পরিবারে ত্রাণ দিতে হবে। তাঁর কাছে সংখ্যাটা তখন বেশ বড়ই মনে হয়েছিল। বলেন, ‘এত ত্রাণ কোথা থেকে
পাবো, ভাবছিলাম। কিন্তু যখন নেমে পড়লাম, তখন দেখি কিছুই অসম্ভব নয়। দুয়েকজন ছাড়া কেউ নিরাশ করেননি। এক বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক স্বেচ্ছায় দান করে যান। দাতাদের মধ্যে আরও রয়েছেন ৪ জন সরকারি কর্মী, ১ জন অবসরপ্রাপ্ত অফিসার এবং ২৮ জন ব্যবসায়ী। এঁরা সবাই নগদে বা চেকে ডোনেশন করেছেন। জিনিস দিয়েও দশজন সাহায্য করেছেন ! ওইসব ত্রাণের হিসাবের বাইরে রয়েছে শিলচর বেকারি অ্যাসোসিয়েশনের ৫০০ ব্যাগ বিস্কুট। প্রতি ব্যাগে অন্তত ২৫০ টাকার বিভিন্ন ধরনের বিস্কুট ছিল।
নানা অভিজ্ঞতার কথাও এ দিন তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে ভাগ করেন। জানান, ‘এক ব্যবসায়ী স্বেচ্ছায় কিছু টাকা ডোনেশন করবেন বলে জানান। খুশিই হই। পরদিন আড়াই লক্ষ টাকা নিয়ে হাজির। বিস্মিত হই, এত টাকা! সন্দেহ হওয়ায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, তার দুনম্বরী কারবার। পরদিন তাকে ডেকে পুরো টাকা ফিরিয়ে দিই। বিবেক, নীতি-আদর্শের বাইরে তো যেতে পারব না! ‘