NE UpdatesHappeningsBreaking News
ডিটেনশন ক্যাম্প বলে জেলে পাঠানো চলবে না, হাইকোর্টের নির্দেশ
৯ অক্টোবর: কারাগারকে ‘ডিটেনশন শিবির’ তকমা দিয়ে ঘোষিত বা অভিযুক্ত বিদেশিদের রাখা আর চলবে না। ডিটেনশন শিবিরে রাখতে হলে আগে সত্যিকারের ডিটেনশন শিবির তৈরি করতে হবে। যদি সরকারি পরিকাঠামো তৈরি না থাকে, দরকারে বেসরকারি বাড়ি ভাড়া নিতে হবে। কোনও ভাবেই কারাগারে রাখা চলবে না। নির্দেশ দিয়েছে গৌহাটি হাইকোর্ট৷
সরকারি হিসেবে বর্তমানে রাজ্যের ৬টি ডিটেনশন শিবিরে বন্দির সংখ্যা ৪৩৩ জন। হাইকোর্টের রায়ের ফলে তাদের হয় জামিন দিতে হবে, না হলে তাঁদের জন্য অবিলম্বে বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। নতুন করে কোনও ঘোষিত বিদেশিকে আর জেলে ঢোকানো চলবে না।
২০০৭ সালে বিদেশি ঘোষিত হয়েছিলেন গুয়াহাটির জ্যোতিকুচি এলাকার বাসিন্দা চিত্তরঞ্জন সরকার। তাঁর জামিনের আবেদন করে মামলা করেন মেয়ে দীপিকা সরকার। সেই মামলার সূত্র ধরেই এই রায় দিল হাইকোর্ট৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গোয়ালপাড়ার মাটিয়ায় অবশ্য নতুন ডিটেনশন শিবির তৈরি করছে সরকার। কিন্তু কাজ এখনও শেষ হয়নি।
গৌহাটি হাইকোর্টের বিচারপতি অচিন্ত্যমল্ল বুজরবরুয়া নির্দেশ দেন, রাজ্য সরকারকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বা ঘোষিত বিদেশিদের রাখার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যায় ডিটেনশন শিবির, সাময়িক শিবির ইত্যাদি তৈরি করতে হবে। সেগুলি তৈরি হতে হবে কারাগারের বাইরে। থাকতে হবে বিদ্যুৎ, জলের সুব্যবস্থা। চত্বর হতে হবে পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যকর। ডিটেনশন শিবির তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণে বা বাড়ি তৈরিতে সময় লাগলে ততদিন অন্য সরকারি ভবনে বা বেসরকারি ভবন ভাড়া করে তাদের রাখতে হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নকশা ও গাইডলাইন মেনে ডিটেনশন শিবির তৈরি করতে হবে।
যতদিন সেই ব্যবস্থা না হচ্ছে বর্তমানে গোয়ালপাড়া, কোকরাঝাড়, যোরহাট, শিলচর, ডিব্রুগড়, তেজপুর কেন্দ্রীয় কারাগেরের একটি অংশ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে সেখানে অস্থায়ী ডিটেনশন শিবির তৈরি করতে হবে। আবাসিকদের সব সুবিধা দিতে হবে। বিচারাধীন বা দণ্ডিত অন্য বন্দিদের মতো তাদের রাখলে চলবে না।
বিচারক রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে বলেন, অস্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবেই গোয়ালপাড়া, কোকরাঝাড়, শিলচর কারাগারে ডিটেনশন শিবির তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ১০ বছর পরেও রাজ্য সরকার স্থায়ী ডিটেনশন শিবির তৈরির উদ্যোগ নেয়নি। তিনি নির্দেশ দেন, ৫ দিনের মধ্যে কারাগারের বাইরে নতুন ডিটেনশন শিবির তৈরির ব্যবস্থা করতে হবে। ১৬ অক্টোবর পরের শুনানির দিনে এ কাজ কতদূর এগোল, তা নিয়ে রিপোর্ট দিতে হবে সরকারকে।