Barak UpdatesHappeningsBreaking News
ডলুতে বিমানবন্দর হলেও চা গাছের ক্ষতি হবে না, কেউ কাজ হারাবেন না, দাবি রাজদীপ রায়ের
ওয়েটুবরাক, 22 জানুয়ারিঃ ডলুতে নতুন বিমানবন্দর হওয়া একরকমের চূড়ান্তই। জমি নির্ধারণ, সীমা চিহ্নিতকরণ ইত্যাদি সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সংক্রান্ত অনুমোদন করিয়ে জমি হস্তান্তর পর্ব সেরে নেওয়া। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার ঘোষণার পর শনিবার সাংসদ ডা. রাজদীপ রায় তা বিশদে ব্যাখ্যা করেন। তিনি বিরোধীদের সমালোচনারও জবাব দেন। বলেন, তাদের কোনও গণভিত্তি নেই। তাই আবোলতাবোল কথা বলে চলেন। মানুষের মনে অহেতুক ভীতি ও বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, ডলুতে নতুন বিমানবন্দরটি নির্মিত হলেও চা গাছ বা চা শ্রমিক-কর্মচারীদের কোনও ক্ষতি হবে না। কারণ ডলুতে যে 870 একর জমি রাজ্য সরকার বিমানবন্দরের জন্য গ্রহণ করছে, সেটা ডলু চা বাগানের মোট জমির 22 শতাংশ মাত্র। অন্যদিকে বাগানে 55 শতাংশ জমি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়েছে। ফলে বিমানবন্দরের জমিতে যে টুকু চা বাগান রয়েছে, সেখানকার প্রতিটি চা গাছ তুলে নিয়ে অব্যবহৃত অংশে নিয়ে লাগানো হবে। এ ছাড়া, চায়ের বাগানের যেহেতু কোনও হেরফের হবে না, কোনও শ্রমিক-কর্মচারীর কাজ হারানোরও কথা ওঠে না বলেই সাংসদ ডা. রায়ের। তাঁর কথায়, ডলু চা বাগানে মোট 1800 শ্রমিক-কর্মচারী রয়েছেন। 1200 শ্রমিক-কর্মচারী স্থায়ী, বাকি 600 হলেন অস্থায়ী। লোকসভার সদস্য রাজদীপ রায় বলেন, স্থায়ী-অস্থায়ী কারও কাজ হারানোর আশঙ্কা নেই।
নিজেকে অংশীদার দাবি করে হাসমুখভাই প্যাটেল যে ডলুর জমি হস্তান্তরের বিরোধিতা করছেন, একেও ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেন ডা. রায়। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার মালিকানা সংক্রান্ত কাগজপত্র পরীক্ষা করেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে। 2018 সালেই এই জমির সমস্ত মামলা শেষ হয়ে গিয়েছে।