Barak UpdatesHappeningsBreaking News
ডনবস্কোতে গিয়ে স্পষ্টীকরণ চাইল বরাক বঙ্গ, দ্বিভাষিক প্রশ্নপত্রের দাবি
ওয়েটুবরাক, ১৫ জুনঃ বাংলা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ইংরেজিতে করার ব্যাপারে শিলচর ডনবস্কো স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করে স্পষ্টীকরণ চাইল বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন। আজ শনিবার সম্মেলনের এক প্রতিনিধি দল শিলচর ডন বস্কো স্কুলে গিয়ে স্কুলের ম্যানেজার তথা ডিরেক্টর রোজি যোশেফ চিরুকানেলের সঙ্গে সাক্ষাত করে এ ব্যাপারে তাঁদের আপত্তির কথা তুলে ধরে এই ধরনের কাজের তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
স্পষ্টীকরণে ম্যানেজার রোজি জানান, বাংলা সহ সকলের মাতৃভাষা ও আঞ্চলিক ভাষার প্রতি তাঁরা শ্রদ্ধাশীল। সে জন্য বাঙালি ছাত্রছাত্রীদের এমআইএল হিসেবে বাংলা নিতে তাঁরা পরামর্শ দেন। নয়া শিক্ষানীতি চালুর বহু আগেই তাঁরা স্কুলে বাংলা পড়াচ্ছেন। সে জন্য কাউকে তাদের কাছে গিয়ে দাবি জানাতে হয়নি।
বাংলা বিষয়ের প্রশ্নপত্র ইংরেজিতে করা নিয়ে তাঁর বক্তব্য, তৃতীয় শ্রেণিতেই তাদের ছাত্রছাত্রীরা প্রথম বাংলা শেখে। শুরুতে তাদের অক্ষরের সঙ্গে পরিচয়ের চেয়ে উচ্চারণে বেশি জোর দেওয়া হয়। নতুন শিক্ষাবর্ষে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা মাত্র দুইমাস সময় পেয়েছে। লোকসভা নির্বাচন সহ নানা কারণে ওই দুইমাসেও পুরো ক্লাশ হয়নি। এত কম দিনের ক্লাশে তাদের পক্ষে বাংলা প্রশ্ন পড়ে ওঠা সম্ভব হবে না বলেই ইংরেজিতে প্রশ্ন তৈরি করা হয়েছে। অন্য কোনও ক্লাশেই এমনটা হয় না বলেই জানান তিনি।
বরাক বঙ্গের প্রতিনিধিরা তাঁর সব কথা শুনে এমন অবস্থায় দ্বিভাষিক প্রশ্নপত্রের জোরালো দাবি রাখেন। রোজি একে উত্তম সমাধান বলে মন্তব্য করেও বলেন, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে তিনি এ নিয়ে কথা বলবেন। পাশাপাশি তিনি মাতৃভাষাকে এমআইএল হিসেবে নিতে অভিভাবকদের অনীহার ব্যাপারেও বরাক বঙ্গের প্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। রোজি পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানান, শিলচর ডন বস্কো স্কুলে তৃতীয় থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত ৫৯৬ জন বাঙালি ছাত্রছাত্রী রয়েছে। তাদের মধ্যে ৩২৭ জন অর্থাত ৫৪ শতাংশ ছাত্রছাত্রী এমআইএল হিসেবে বাংলা নিয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি এও শোনান, ৬৩ জন অবাঙালি ছাত্রছাত্রী এমআইএল হিসেবে বাংলা পড়ছে।
এই চিত্র যে শুধু বাংলা বিষয়ের ক্ষেত্রেই নয়, সব ভাষা, সব জনগোষ্ঠীর কাছেই তা উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেন প্রতিনিধিরা। আজকের এই প্রতিনিধি দলে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বরাক বঙ্গের কেন্দ্রীয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক গৌতমপ্রসাদ দত্ত, জেলা সভাপতি সঞ্জীব দেবলস্কর, সম্পাদক উত্তমকুমার সাহা, সহ-সম্পাদক বিনায়ক চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ বকুলচন্দ্র নাথ এবং শিলচর শহর আঞ্চলিক সমিতির সভাপতি সব্যসাচী পুরকায়স্থ।