India & World UpdatesHappeningsBreaking News
ট্রাম্পের ওষুধ: দেশের কথা আগে ভাবতে রাহুল গান্ধীর পরামর্শ
April 7, 2020
৭ এপ্রিল: জীবনদায়ী ওষুধ রফতানি করার আগে নিজের দেশের কথা ভাবতে হবে। এই সঙ্কটজনক মুহূর্তে প্রথম গুরুত্ব দিতে হবে দেশের মানুষের প্রয়োজনের দিকে। আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার নিজের মতামত সাফ শুনিয়ে দিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন রফতানি নিয়ে ভারতের নিষেধাজ্ঞার পর ট্রাম্প তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। ভারত-আমেরিকার বন্ধুত্বের দোহাই দিয়েছিলেন।এমনকী এই সিদ্ধান্ত বদল না করলে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন ট্রাম্প। আর আমেরিকান প্রেসিডেন্টের এই মন-মানসিকতার বিরুদ্ধেই প্রতিবাদের সুর চড়ান রাহুল গান্ধী।
কংগ্রেস নেতা বলেন, কোনও বন্ধুত্বই দেশের মানুষের জীবনের চাইতে বড় নয়। আগে চাহিদা অনুযায়ী ক্লোরোকুইনের মজুত রাখতে হবে নিজের দেশে। তারপর চাইলে অন্য দেশকে সাহায্য করুক ভারত, তাতে আপত্তি নেই। এ দিন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে তীব্র তোপ দেগে রাহুল গান্ধী বলেন, দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যে বদলার প্রসঙ্গ উঠছে কী করে? বিপদের সময়ে ভারত নিশ্চয়ই অন্য দেশের পাশে দাঁড়াবে। কিন্তু আগে তো নিজের দেশের মানুষ, তারপর অন্য কেউ। এসব কথাপ্রসঙ্গে টুইটও করেন তিনি।
ট্রাম্পের এরকম মন্তব্যের নিন্দা করেছেন কংগ্রেসের তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুরও। তাঁর কথায়, দীর্ঘ সময় হয়ে গেছে আন্তর্জাতিক কূটনীতি নিয়ে চর্চা করছি। এধরনের পরিস্থিতিতে কোনও রাষ্ট্রপ্রধানের মুখে এমন কথা আগে কখনও শুনিনি।
এ দিকে, আশ্চর্যজনকভাবে মন্তব্য-পাল্টা জবাব এসবের মধ্যেই মঙ্গলবার হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানান, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেই এমন সিদ্ধান্ত।করোনায় বেশি প্রভাবিত প্রতিবেশী দেশগুলোতেই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন রফতানি করা হবে। কারণ, আজকের এই বিপর্যয়ের দিনে এই দেশগুলো ভারতের ক্ষমতার ওপরই ভরসা করছে। ফলে পরিস্থিতি ও সময়ের দাবি মেনে তাদের পাশে দাঁড়ানো দরকার।
অন্যদিকে, একাংশ মানুষ ভারতের এই সিদ্ধান্তের পেছনে মার্কিন চাপকেই অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন। প্রসঙ্গত, কোভিড-১৯ প্রতিরোধের জন্য ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও প্যারাসিট্যামল ট্যাবলেটই ব্যবহার করছে বেশিরভাগ দেশ। আর ওষুধগুলোর বেশি উৎপাদন ও সরবরাহ ক্ষমতা রয়েছে ভারতের কাছেই।