NE UpdatesBarak UpdatesHappeningsBreaking News
ছেলেধরা সন্দেহে মার খেয়ে দুই নির্দোষ মহিলা সহ চারজন মেডিক্যালে, ডিসি-এসপির সতর্কতা
ওয়েটুবরাক, 20 সেপ্টেম্বরঃ পুলিশের হুঁশিয়ারির পরও ছেলেধরা সন্দেহে মারপিটের ঘটনা ঘটেই চলেছে। পুজোর আগে না কোথাও বড় ধরনের অঘটন ঘটে যায়, এ নিয়ে কাছাড়ের জেলাশাসক. পুলিশ সুপারও উদ্বেগে। তাই তাঁরা সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন বলে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের ডেকে জানিয়ে দিয়েছেন।
লক্ষীপুরের দুটি ঘটনা তাঁদের বেশি করে ভাবিয়ে তুলছে। এক ঘটনায় দুই অসুস্থ মহিলা রাস্তার ধারে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। তাদের বেশ কিছুক্ষণ ধরে বসে থাকতে দেখে ছেলেধরা সন্দেহে একদল মানুষ মারধর করে. পাথর ছোঁড়ে। তাতে তাঁরা মারাত্মক জখম হন। পুলিশ পরে তাদের শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। অসুস্থতার মধ্যে এই ঘটনায় তারা একেবারে ভেঙে পড়েছেন। শারীরিক চোট-জখমের সঙ্গে মানসিক জটিলতাও ধরা পড়েছে।
পুলিশ সুপার নোমল মাহাত্তা জানিয়েছেন, ডাক্তাররা তাদের বিশেষ ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। পুলিশকেও এই সময়ে তাদের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। তাই তাদের নাম-ঠিকানা জানা যায়নি। তবে এসপির অনুমান মহিলাদের বাড়ি ত্রিপুরায়।
আর এক ঘটনা ঘটে লক্ষীপুরেরই এক চা বাগানে। দুই অপরিচিত যুবককে দেখে বাগানশ্রমিকদের ছেলেধরা সন্দেহ হয়। শুরু হয় গণপিটুনি। পরে তাদের ম্যানেজারের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ বাগানে গেলেও যুবকদের আনতে পারছিলেন না। অনেক কষ্ট করে তাদের বাগান থেকে বার করে এনে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার মাহাত্তা এ দিনও স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, জেলার কোথাও কোনও শিশু-কিশোর অপহরণ বা নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। যাদেরই ছেলেধরা বলে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, বা পুলিশ উদ্ধার করে এনেছে, কারও বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা মেলেনি। সবাই নিরীহ, দুস্থ প্রকৃতির। ফলে নিরীহদের মারপিটের ঘটনায় পুলিশ কড়া ব্যবস্থা্ গ্রহণ করবে বলে হুঁশিয়ারি দেন পুলিশ সুপার। বলেন, গুজব ছড়ালেও রেহাই মিলবে না। সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। তারা সারাক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়ার দিকে নজর রাখছেন। গ্রামরক্ষী বাহিনীকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।