India & World UpdatesHappeningsBreaking News
চিনকে বার্তা দিতেই মলদ্বীপ ও বাংলাদেশকে কাছে টানলেন মোদি
ওয়েটুবরাক, 13 জুনঃ ৯ জুন সন্ধ্যায় নরেন্দ্র মোদির শপথ সমারোহে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ, ভূটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মলদ্বীপ, মরিশাস এবং সেশলসের রাষ্ট্রনেতারা। ২০১৪ সালে তিনি যখন নরেন্দ্র মোদির প্রথম শপথে এসেছিলেন তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এবং আফগানিস্তানের সেই সময়ের রাষ্ট্রপতি হামিদ কারজাই। এ বার এই দুই দেশই ব্রাত্য। বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানকে বাদ রেখেই সার্ক গোষ্ঠীভুক্ত প্রতিবেশীদের নিয়ে বিকল্প ‘ব্লক’ তৈরি করতে চাইছে ভারত, যা আসলে এক ঢিলে দুই পাখি। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের অবস্থানকে আরও স্পষ্ট করা এবং অন্যদিকে চিনকেও বার্তা দেওয়া— ‘দাদাগিরি’ চলবে না।
শুধু পাকিস্তানই নয়, সাম্প্রতিক সময়ে মলদ্বীপ এবং বাংলাদেশের উপর কব্জা করে যে ভাবে ভারতকে চাপে রাখার চেষ্টা করছিল চিন, শপথ গ্রহণ মঞ্চেই তা প্রতিহত করার বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদি। খোদ ‘চিনপন্থী’ মইজ্জু এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “মোদীর শপথ সমারোহকে কেন্দ্র করে ভারত ভ্রমণ, ভারত এবং মলদ্বীপের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে আরও সুদৃঢ় করবে।” চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই ফের বাংলাদেশের ক্ষমতায় এসেছেন শেখ হাসিনা। সম্প্রতি সেখানেও সংগঠিত হয় ‘ভারত বিরোধী’ বিক্ষোভ, যা নিজে প্রতিহত করেছেন হাসিনা। এ বার মোদির শপথে তাঁর উপস্থিতি, ‘বন্ধু’ ভারতের পাশে বাংলাদেশের থাকার বার্তাকে আরও স্পষ্ট করল বলেই মত বিশ্লেষকদের।