Barak UpdatesHappeningsBreaking News
চিকিতসক গোষ্ঠীর পরামর্শ ও ডেপুটি স্পিকারের সায়েই প্লাজমাথেরাপি, বললেন ডা. রাজদীপ
৩১ জুলাইঃ আসাম বিধানসভার উপাধ্যক্ষ আমিনুল হক লস্করকে প্লাজমা থেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসার জন্য বুধবারই চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেন। এর পরই এ নিয়ে কথা হয় জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের সঞ্চালক ডা. এস লক্ষণনের সঙ্গে। শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. বাবুল বেজবরুয়া গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গেও আলোচনা করেন। শেষে প্রয়োজন ছিল রোগী ও তাঁর পরিবারের সায়। তাতেও সমস্যা হয়নি।
আমিনুলবাবুর প্লাজমা থেরাপি চলাকালেই এই কথাগুলি বললেন শিলচরের সাংসদ তথা বিশিষ্ট চিকিৎসক রাজদীপ রায়। সাংসদ জানান, তিনি নিজে আমিনুলবাবু ও তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে এ নিয়ে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন। এ দিককার সব চূড়ান্ত হওয়ার পর ফের কথা বলেছেন ডা. লক্ষণনের সঙ্গে। প্লাজমা দাতা নিয়ে কোনও সমস্যা হয়নি বলেই জানালেন ডা. রায়। বলেন, বৃহস্পতিবার সকালেই দাতাকে শিলচরে নিয়ে আসা হয়। এ দিনেই আমিনুলবাবুকে প্লাজমা দেওয়া যেত। কিন্তু অন্য একটা ওষুধ চলছিল বলে একদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়। সাংসদ ডা. রায় আশাবাদী, এখন ডেপুটি স্পিকার দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।
তাঁর কথায়, প্লাজমা থেরাপি ও রক্ত নেওয়ার মধ্যে খুব একটা ফারাক নেই। ফলে এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। রক্ত দেওয়ার মতই গ্রুপ মিলতে হয়। তা না হলে প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা থাকে। রক্ত দেওয়া-নেওয়ার ঠিক আগে যেমন তাপমাত্রা, রক্তচাপ পরীক্ষা করে নেওয়া হয়, এ ক্ষেত্রেও তা-ই। এলার্জি সহ কিছু উপসর্গেরও খোঁজ নেওয়া হয়। এগুলি না থাকলেই ভাল। আর প্লাজমাথেরাপি যেহেতু ডাক্তারদের তত্ত্বাবধানে হয়, ফলে কারও কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এখন শিলচর মেডিক্যালে এই পদ্ধতিতে চিকিতসা চলতে থাকবে বলে জানিয়েছেন কলেজ পরিচালন সমিতির উপসভাপতি ডা. রাজদীপ রায়।