India & World UpdatesHappenings
চতুর্থ দফার লকডাউনে নিয়ম শিথিল চাইছে অধিকাংশ রাজ্য
17 মেঃ রবিবার তৃতীয় দফা লকডাউনের শেষ দিন। সোমবার থেকে শুরু হবে চতুর্থ দফা লকডাউন। অধিকাংশ রাজ্য লকডাউন ৩১ মে পর্যন্ত চালু রাখার পক্ষে সওয়াল করেছে। একই সঙ্গে আর্থিক কর্মকাণ্ড ধীরে ধীরে শুরু করার বিষয়েও বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে কেন্দ্র। দিল্লির পক্ষ থেকে জোড়-বিজোড় নীতি মেনে বাজার খোলার দাবি করা হয়েছে, তেমনই দফতরে পৌঁছনোর জন্য বাস-অটো, ই-রিকশার মতো গণ পরিবহণও দূরত্ববিধি মেনে চালানোর জন্য সওয়াল করা হয়েছে। বাসের মতো গণপরিবহণ চালু করার পক্ষপাতী পশ্চিমবঙ্গও।
পশ্চিমবঙ্গ ও ছত্তিশগড় সরকারের পক্ষ থেকে রেড, অরেঞ্জ ও গ্রিন জ়োন চিহ্নিত করার ক্ষমতা রাজ্য প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি করা হয়েছে। পঞ্জাব, তেলেঙ্গানার সরকার চাষবাসের বিষয়টি মাথায় রেখে গণপরিবহণে ছাড় চেয়েছে। বিহার, ওড়িশা কিংবা মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্য এই মুহূর্তে আন্তঃরাজ্য গণপরিবহণ চালু করার বিপক্ষে। শহর ও গ্রামীণ এলাকায় শিল্পতালুকগুলি চালু করার দাবি তুলছে কেরল। গুজরাট আর্থিক গতিবিধি পুরো দমে চালু করার পক্ষে রায় দিয়েছে।
গুজরাটের উপমুখ্যমন্ত্রী নীতীন প্যাটেলের কথায়, লকডাউনের সঙ্গে আর্থিক গতিবিধিও গুরুত্বপূর্ণ। এখন আর করোনার ভয়ে বাড়িতে বসে থাকা সম্ভব নয়। নিয়ম শিথিলের ইঙ্গিত দিয়েছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পাও। তবে আসাম গোটা মে মাসই কড়াভাবে লকডাইন পালনের পক্ষে সওয়াল করেছে। কেন্দ্রও বুঝতে পারছে, অর্থনৈতিক গতিবিধিতে প্রাণ সঞ্চার করতে হলে গণপরিবহণে ছাড় দিতেই হবে। ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে বিশেষ ট্রেন পরিষেবা। ট্রেনের মতোই সীমিত সংখ্যায় গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলির মধ্যে বিমান পরিষেবা শুরু করা যায় কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সূত্রের খবর, সব ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহ থেকে চালু হতে পারে বিমান পরিষেবা। সেই মোতাবেক প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বিমানবন্দরগুলিতেও।