Barak UpdatesHappeningsBreaking News
গ্রাহক সুরক্ষা আন্দোলনের নেতা বিপ্লব গোস্বামীর অন্ত্যেষ্টি সম্পন্ন
ওয়েটুবরাক, ১১ মার্চঃ ৫ ডিসেম্বর প্রয়াত হয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী গ্রাহক সুরক্ষা কমিশনের প্রাক্তন সদস্যা দীপান্বিতা গোস্বামী। ৭ ডিসেম্বর অন্ত্যেষ্টি সেরে এসে সেই যে শয্যাশায়ী হয়েছিলেন, আর সুস্থ হয়ে উঠতে পারলেন না এই অঞ্চলের গ্রাহক সুরক্ষা আন্দোলনের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব বিপ্লবকুমার গোস্বামী। রবিবার সকাল সাড়ে দশটায় অম্বিকাপট্টি স্থিত বহুতল আবাসনের নিজ ঘরে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। সোমবার সকালে নিঃসন্তান বিপ্লববাবুর ভাইপো শিবদাস গুয়াহাটি থেকে এসে মুখাগ্নি করেন। সে সময় শ্মশানে উপস্থিত ছিলেন ডা. অরুণকুমার ভট্টাচার্য, ড. সৌরীন্দ্রকুমার ভট্টাচার্য, মনোজ দেব, বিজন দেব, সুবীর ভট্টাচার্য, অমৃতকুমার আচার্য, জয় দত্ত, শোভন গুপ্ত প্রমুখ। সারাক্ষণ তদারকিতে ছিলেন বিশিষ্ট সমাজকর্মী স্বর্ণালী চৌধুরী। সকালে বিপ্লববাবুর বাড়ি গিয়ে মৃতের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বিশিষ্ট কবি-সাংবাদিক অতীন দাশ।
গত নভেম্বরে অসুস্থ স্ত্রীকে গুয়াহাটিতে নিয়ে যান বিপ্লববাবু। ৫ ডিসেম্বর তাঁর পত্নীবিয়োগ ঘটে। শিলচরে নিয়ে এসে ৭ ডিসেম্বর তাঁর অন্ত্যেষ্টি সারেন। সে রাতেই ব্রেনস্ট্রোকে আক্রান্ত হন সমাজকর্মী বিপ্লবকুমার গোস্বামী। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুদিন সেখানে চিকিতসার পর শিলচর রেডক্রশে এনে ভর্তি করা হয় তাঁকে। অবস্থার সামান্য উন্নতি হলে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তখন কখনও পরিচিতজনদের চিনতেন, কখনও চিনতেন না। কখনও সখনও মুখে এক-দুই শব্দ উচ্চারণ করতেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের সঙ্গে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হওয়ায় বিছানাতেই কাটে তাঁর বাকি দিনগুলি।
তাঁর মৃত্যুতে শোক ব্যক্ত করে গ্রাহক সুরক্ষা সমিতি ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মঞ্চ। প্রিয়জনদের আক্ষেপ, দীর্ঘকাল ধরে নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে থাকা মানুষটির এমন বিদায় কাঙ্ক্ষিত ছিল না।