NE UpdatesHappeningsBreaking News

গুয়াহাটিতে প্রেমিকাকে ছুরিকাঘাতে খুন, প্রেমিক গ্রেফতার

ওয়েটুবরাক, ২৭ ডিসেম্বরঃ দিনদুপুরে ছুরিকাঘাতে যুবতী খুনের ঘটনায় গুয়াহাটি মহানগরীতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ডিআইজি পার্থসারথি মহন্ত জানান, প্রেমের প্রস্তাবে প্রত্যাখ্যাত হয়ে মৌসুমী গগৈকে হত্যা করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ভূপেন দাস নামে এক যুবক। ভূপেনকে গ্রেফতার করে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে তার চিকিতসা চলছে।

তাঁকে যে ভূপেন মেরে ফেলতে পারে, সেটা বেশ কিছুদিন ধরেই আশঙ্কা করছিলেন মৌসুমী। একমাস আগে তাই গুয়াহাটি পানবাজার থানায় তার বিরুদ্ধে এজাহারও দেন তিনি। বুধবারও পুলিশের কাছে তাঁর এজাহারের ব্যাপারে জানতে চেয়েছিলেন। অভিযোগ, পুলিশ মহিলার নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কাকে গুরুত্ব দিলে হয়তো প্রাণে বেঁচে যেতেন তিনি। পার্থসারথির সাফাই, এফআইআর পেয়ে পুলিশ প্রক্রিয়া মেনে এগোচ্ছিল।

কিন্তু ধীরে চলার নীতিতে লাভ কী হল, এই প্রশ্ন এড়িয়ে যান পুলিশের ডিআইজি। তবে এ দিন যে ঘটনার পরই স্পেশাল অপারেশন গ্রুপকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করেন সে কথা।

নিহত মৌসুমীর মূল বাড়ি ডিব্রুগড় জেলার মরানে। সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামীর মৃত্যুর পর নয়বছরের একমাত্র কন্যাসন্তানকে নিয়ে তিনি গুয়াহাটিতে চলে আসেন। লাস্টগেট এলাকার এক আবাসনে ভাড়া থেকে একটি এনজিওতে চাকরি করতেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় সেই আবাসন থেকে বেরিয়ে গেটের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। অভিযোগ, আগে থেকেই সেখানে গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছিল ভূপেন। গাড়ির দরজা খুলে বেরিয়ে পরপর ছুরিকাবিদ্ধ করে মৌসুমীকে। তাঁর আর্তচিতকারের মধ্যেই ভূপেন গাড়িতে ঢুকে নিজের পেটে ছুরি চালায়।

গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজের সুপার জানান, ঘাড়, গলা, পেট ও হাতে ছুরিকাঘাতের দরুন মৌসুমীর মৃত্যু হয়েছে। ভূপেনের পেটেও ছুরির ঘা রয়েছে। তাঁর অস্ত্রোপচার করা হবে।

পুলিশ প্রেমের প্রস্তাবে প্রত্যাখ্যানের কথা বললেও মৌসুমীর ঘনিষ্ঠজনরা জানান, তিনবছর ধরে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গাড়িচালক ভূপেনের যে নলবাড়িতে স্ত্রী এবং দুই সন্তান রয়েছে, তা তাঁর জানা ছিল না। মাস দেড়েক আগে তা জানতে পারলে দুইজনের মধ্যে বিবাদ বাঁধে। গতমাসে জালুকবাড়িতে তাঁকে দা নিয়ে তাড়া করেছিল ভূপেন। এর পরই এফআইআর করেছিলেন মৌসুমী।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker