Barak UpdatesHappeningsBreaking News
বড়খলার সরকারি আদর্শ মহাবিদ্যালয়ে ভাষা শহিদ তর্পণ
ওয়ে টু বরাক, ২০ মে ঃ বড়খলার সরকারি আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের আয়োজনে এবং অভ্যন্তরীণ উৎকর্ষ নির্ণায়ক কোষ-এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হল উনিশে মে, ১৯৬১র একাদশ ভাষা শহিদ তর্পণ। অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথি ও প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ ড. সাহাবুদ্দিন আহমেদ।
প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, কৃষ্ণচুড়া ফুলে রাঙা শহিদ তর্পণ ও ‘শোনো ডাকে ঐ একাদশ শহিদেরা ভাই’ গানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। শহিদদের জন্য দু’ মিনিটের নীরবতা পালন করে অতিথি বরণে শুরু হয় অনুষ্ঠান। স্বাগত ভাষণ রাখেন বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মধুমিতা ঘোষ। কলেজের অধ্যক্ষ ড. সাহাবুদ্দিন আহমেদের কথায় উঠে আসে বরাক উপত্যকার ভাষা আন্দোলন-ইতিহাসের বহু অজানা তথ্য। বক্তব্য রাখেন উপাধ্যক্ষ ড. বাহারুল আলম লস্কর, আইকিউএসি সমন্বয়ক ড. মফিদুর রহমান, সমাজতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. জয়দীপ গোস্বামী এবং ড. আয়েশা আফসানা।
নাচে-গানে-কবিতায় পড়ুয়া ও শিক্ষকদের পরিবেশনায় শহিদদের প্রণাম জানানো হয়। ‘আমি বাংলায় গান গাই’, ‘মোদের গরব মোদের আশা’ ইত্যাদি গান, কবিতা এবং ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’, ‘বিস্তীর্ণ দুপারে’ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশিত হয়। ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সুরশিখা দেবনাথ, শহিদ কমলা ভট্টাচার্যের জীবনের ওপর আলোকপাত করে গানের মাধ্যমে তাঁর বক্তব্য তুলে ধরেন। শিক্ষা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. রূপশ্রী পাল স্বরচিত গানের মাধ্যমে জানান শহিদ তর্পণ। বাংলা বিভাগের অধ্যাপিকা ড. মৌসোনা নাথ আবৃত্তি করেন ‘যে কেড়েছে বাস্তুভিটে, সেই কেড়েছে ভয়…’।
এই অনুষ্ঠানে সম্প্রীতির এক নতুন নজির গড়ে উঠে যখন বিভিন্ন ভাষা গোষ্ঠী থেকে আসা অধ্যাপক – অধ্যাপিকা, ছাত্রছাত্রী সবাই সামিল হন উনিশের একাদশ শহিদ তর্পণে। এ দিন পরাক্রম দিবসে আয়োজিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং উনিশে মে উপলক্ষে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অধ্যক্ষ। উনিশের শপথ গ্রহণে, মাতৃভাষার অধিকার রক্ষায়, ঘৃণা-বিদ্বেষহীন সুন্দর রাষ্ট্র ও রাজ্য গঠনের অঙ্গীকারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন সবাই।
ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ড. মৌসোনা নাথ এবং বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মধুমিতা ঘোষ কথা ও গান ‘এপার বাংলা ওপার বাংলা’র মধ্য দিয়ে। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে এ দিনের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।