Barak UpdatesHappeningsBreaking News
ক্যানসার হাসপাতাল সোসাইটিকে সেন পরিবারের বাড়ি দান
ওয়েটুবরাক, ২৬ নভেম্বর : তিন কাঠা জমির ওপর দোতলা দালানবাড়ি৷ অনেক পরিশ্রম করে একে মনের মতো সাজিয়েছিলেন শশাঙ্কশেখর সেন-গীতা সেন৷ প্রয়াত শশাঙ্কশেখর সেন ছিলেন পোস্টাল সার্ভিসের অবসরপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর৷ চার ছেলের সবাই বেশ প্রতিষ্ঠিত৷ মেয়ে সাবিত্রী সেনগুপ্তের বেলাতেও একই কথা বলা চলে৷ তাঁর স্বামী গৌরাঙ্গ সেনগুপ্ত বিএসএনএলের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার৷
তাই শিলচরের মেহেরপুর বটেরতলের দোতলাবাড়িটি ক্যানসার হাসপাতালকে দান করে দিলেন তাঁরা৷ কোথায় দেবেন এমন মহামূল্য সামগ্রী, এ নিয়ে অনেকে পরামর্শ দিয়েছিলেন৷ গীতা সেনের কথায়, “ক্যানসারে আক্রান্তদের চিকিৎসায় প্রতিষ্ঠানের বিরাট ব্যয়ভার বহন করতে হয় ৷ এর চেয়ে বড় কথা, কাছাড় ক্যানসার হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের আরও অনেক পরিকাঠামো বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে৷” তাই গীতাদেবী ও তাঁর ছেলেমেয়েরা বটেরতলের বাড়িটি কাছাড় ক্যানসার হসপিটাল সোসাইটিকে দান করারই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেন৷ আজ শুক্রবার গীতাদেবী ওই জমিবাড়ির কাগজপত্র হসপিটাল সোসাইটির কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেন৷ সঙ্গে ছিলেন তৃতীয় পুত্র আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সেন্টারের ডিরেক্টর অংশুমান সেন৷ হসপিটাল সোসাইটির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডিরেক্টর রবি কান্নান, সচিব নীলমাধব দাস, যুগ্ম সচিব পরিতোষ দত্ত, কল্যাণ চক্রবর্তী, নীহারেন্দু পুরকায়স্থ, অরবিন্দ ভদ্র ও তপন রায়৷ কল্যাণ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এটি শশাঙ্কশেখর সেন-গীতা সেন অতিথিশালা হিসাবে ব্যবহারের জন্য ক্যানসার হাসপাতাল সোসাইটিকে দান করা হয়েছে৷
প্রসঙ্গত, আইএএস শশাঙ্কশেখর সেন-গীতা সেনের অন্য তিন ছেলে হলেন ভেটেরিনারি সার্ভিসের অবসরপ্রাপ্ত ডিরেক্টর হিমাদ্রী সেন, বিএসএনএলের অবসরপ্রাপ্ত এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার গৌতম সেন এবং দিল্লি ডেয়ারি সার্ভিসের ডেপুটি কমিশনার চিন্ময়জিত সেন৷
এর আগে অনেকে অনেক কিছু দান, অর্থসাহায্য করলেও কাছাড় ক্যানসার হসপিটাল সোসাইটিকে কারও জমি-বাড়ি দান এই প্রথম৷ তবে সেন পরিবার আগেও জমি-বাড়ি দান করেছেন৷ তাঁদের হাইলাকান্দির বাড়িটি তাঁরা ভারত সেবাশ্রম সংঘকে তুলে দিয়েছিলেন৷