NE UpdatesHappenings
ভারত বনধকে সামনে রেখে ধর্মনগরে ৫ বাম দলের কনভেনশন
ওয়েটুবরাক, ২৪ সেপ্টেম্বর : ২৭ সেপ্টেম্বরের ভারত বনধের সমর্থনে আজ শুক্রবার সিপিএম ধর্মনগর মহকুমা অফিসে ৫ বামদলের উদ্যোগে যৌথ কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন সাথী ভট্টাচার্য, সফদর উদ্দিন, মানকুমার সিনহা, ফৈয়াজ আলি। কনভেনশনের শুরুতে সারা ভারত ফরোয়ার্ড ব্লকের ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদক প্রয়াত শ্যামল রায় এবং সিপিএমের ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদক প্রয়াত গৌতম দাসের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়৷ উপস্থিত সকলে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
সিপিএম ধর্মনগর মহকুমা সম্পাদক অভিজিৎ দে ভারত বনধের সমর্থনে প্রস্তাব উত্থাপন করে বক্তব্য রাখেন। প্রস্তাবের সমর্থনে সারা ভারত ফরোয়ার্ড ব্লকের রঞ্জিত রায়, সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের শংকর মহান্ত, আরএসপি-র সফদর উদ্দিন আলোচনা করেন। বক্তব্য রাখেন সিপিএম উত্তর ত্রিপুরা জেলা সম্পাদক অমিতাভ দত্ত।
বক্তারা বলেন, ৩টি কৃষি আইন কৃষকের মৃত্যু পরোয়ানা। আইন কার্যকর হলে কৃষক নিজ জমি থেকে উচ্ছেদ হবে। কর্পোরেটরদের ক্রীতদাসে পরিণত হবে। খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হবে। খাদ্য নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। গণবণ্টন ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য মজুতে কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। মজুতদারি -কালোবাজারি, জিনিসের দাম রকেট গতিতে বাড়বে।
বক্তারা বলেন, কৃষি না বাঁচলে কৃষক বাঁচবে না। কৃষক না বাঁচলে দেশ বাঁচবে না। কৃষি, কৃষক ও দেশ বাঁচাতে, শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী শ্রমকোড এবং বেসরকারীকরণের উদ্দেশ্যে প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ বিল অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।পাশাপাশি পেট্রোল ডিজেল রান্নার গ্যাস ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি রোধ করতে হবে। বক্তারা আরো বলেন, রেগা শ্রমিকদের বছরে ২০০ দিনের কাজ ও ৬০০ টাকা মজুরি নিশ্চিত করতে হবে। ত্রিপুরায় শাসকদলীয় রাজনৈতিক সন্ত্রাস বন্ধ করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও আইনের শাসন পুনপ্রতিষ্ঠারও দাবি জানান তাঁরা৷ আসামে উচ্ছেদ অভিযানের নামে নিরীহ গরিব মানুষদের উপর নির্বিচারে পুলিশী গুলি ও নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর সর্বাত্মক ভারত বনধ পালন করে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘জনস্বার্থ বিরোধী নীতি’র বিরুদ্ধে আগামীদিনের গণআন্দোলন আরও তীব্রতর করার আহ্বান জানান৷