Barak UpdatesHappeningsBreaking News
কিশোরী হত্যায় ধৃত আরও ২, এসপি অফিসের সামনে বিক্ষোভ, আশ্রম রোড-ন্যাশনাল হাইওয়েতে ১৪৪ ধারা
ওয়েটুবরাক, ১৬ সেপ্টেম্বর : তপোবন নগরের কিশোরী খুনের ঘটনায় পুলিশ আরও দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। এ নিয়ে মোট ধৃতের সংখ্যা চার। কাছাড়ের পুলিশ সুপার রমনদীপ কৌর জানিয়েছেন, তাঁরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে মামলাটি দেখছেন। তিনি নিজে তদন্তের কাজ তদারকি করছেন। তবে প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ।
এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত অপরাধীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার শিলচরে প্রতিবাদ জানায় তপোবন নগর, আশ্রমরোড এলাকার জনগণ।ছিলেন নিহত কিশোরীর মা, বোন ও ভাই-ও। এই ইস্যুতে এলাকাবাসীকে সংগঠিত করে এআইডিএসও, এআইএমএসএস এবং এআইডিওয়াইও।
বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ সংগঠনগুলির উকিলপট্টিস্থিত জেলা কার্যালয়ের সামনে থেকে শতাধিক মানুষ মিছিল করে ভাওয়াল পয়েন্ট হয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে পৌঁছে তীব্র বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। আন্দোলনকারীরা হত্যাকাণ্ডের জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করা, ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে বিচার করে দোষীদের ফাঁসি প্রদান এবং ছাত্রী ও মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিতে দীর্ঘক্ষণ স্লোগান দিতে থাকেন। একসময় তাঁরা রাস্তা আটকে সেখানে বসে পড়েন। পুলিশ সুপার কৌর তখন অফিসে ছিলেন না। তিনি অফিসে ঢোকার মুখে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আন্দোলনকারীদের কথা বলার সময় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে এক প্রতিনিধি দলকে অফিসে যেতে বলেন।
সেখানে দুলালী গাঙ্গুলি, হিল্লোল ভট্টাচার্য, অসিত দাসদের পুলিশ সুপার জানান, ইতিমধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শীঘ্র তদন্ত সেরে চার্জশিট দাখিল করা হবে। পুলিশ সুপার এও জানান, তিনি নিজে ঘটনার তদন্ত করছেন। কাজেই অপরাধীরা কোনো অবস্থায় ছাড়া পাবে না।
এ দিকে, কাছাড়ের জেলাশাসক শিলচরের আশ্রম রোড, ন্যাশনাল হাইওয়ে বাইপাস রোড এলাকায় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। এক নির্দেশে জানানো হয়েছে, ওই সব এলাকায় পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির সমাবেশ করা যাবে না। কোনও পাবলিক প্লেসে কোনও মিটিং, মিছিল বা ডেমোনস্ট্রেশনের আয়োজন করা যাবে না। কোন ব্যক্তি কোনও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চলাচল করতে পারবে না এবং কোনও ধরনের গুজব ছড়ানো যাবে না।